আলুর ফলন ও দাম ভালো সন্তুষ্ট কৃষকরা

তানোর (রাজশাহী) থেকে অসীম কুমার সরকার

রাজশাহীর তানোরে মাঠে মাঠে আলু তোলার ধুম পড়েছে। কৃষকদের দম ফেলানোর ফুসরত নেই। কেউ কেউ নিজে আলু তুলছেন, কেউ কেউ শ্রমিক লাগিয়ে আলু তুলছেন। কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর আলুর ফলন ভালো। দামও ভালো। সে কারণে কৃষকরা বেশ খুশি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার ১৩ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। গত বছর ১২ হাজার ৫শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছিল, যা গতবারের চেয়ে ৭ শ’ হেক্টর বেশি।

কৃষকরা জানান, গতবছর থেকে এবার কৃষকরা আলুর দাম ভালো পাচ্ছেন। উৎপাদন খরচ তুলে একটু লাভের মুখ দেখছেন। কৃষকরা বাড়তি ফসল হিসেবে আলুর চাষ করেন। বোরো ও আমনের মাঝামাঝি একটি ফসল আলু। যা আমন ধান কাটার পর আলু চাষ করেন তারা। আলু তোলার পর আবার বোরো ধানের চাষ করেন।

সরজমিনে উপজেলার আড়াদিঘী, মোহর, আমশো (বিলকুমারী বিল সংলগ্ন), জিওল, সরনজাই, চাঁন্দুড়িয়া, নারায়নপুর, তালন্দ, কামারগাঁ, ছাঐড়, হরিপুর, মাদারীপুর, কলমা ও বিল্লি এলাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষাণ-কৃষাণিরা আলু তুলতে ব্যস্ত। অনেকে খেতেই আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেকে বাড়ি ও কোল্ডস্টোরে আলু সংরক্ষণ করছেন।

নারায়ণপুর গ্রামের আলুচাষি সাইফুল ইসলাম জানান, গতবার আলু ঘরে তুলেই লোকসান হয়েছে। এবার জমিতেই বিক্রি করে দেবেন। উপজেলার ধানতৈড় গ্রামের আলুচাষি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এবার আলুর ফলন ও দাম ভালো। তবে গত কয়েক দিন আগে জমিতেই আলু পাইকারী ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হলে এখন বাজার ১৩ টাকা। দাম আর একটু বাড়লে কৃষক আরও লাভবান হবেন।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম জানান, এবার আলু চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ২শ’ ৫০হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত যে জাতগুলো উঠেছে কৃষক তার ফলন ও দাম ভালো পাচ্ছেন। এতে কৃষকরা সন্তুষ্ট।

happy wheels 2

Comments