অভিজ্ঞ কৃষক সবসময়ই বীজ সংরক্ষণ করেন
কলমাকান্দা নেত্রকোনা থেকে মুন্না রংদি
ধানকে কেন্দ্র করেই আদিবাসি জীবনে আছে নানান সংস্কৃতি। বিন্নি ধান দিয়ে তাদের চলে নানা উৎসব আয়োজন। এলাকার ধান, সবজিসহ সব বীজ আজ উধাও। কৃষকেরা নিজের সম্পদ বীজ হারিয়ে বাজার নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কৃষক প্রতারিত হচ্ছে থাকে বারবার।
কৃষকের বীজ কৃষকের ঘরে নেই। কৃষকের ঘরের বীজ ঢুলি, মটকা, বোতল, হাড়ি থেকে উধাও হয়ে এখন চলে গেছে কোম্পানির প্যাকেটে। নেত্রকোনা জেলার সীমান্ত এলাকা কলমাকান্দা উপজেলার তারানগর গ্রামের মিকরাকা নারী সংগঠনের সদস্যদের উদ্যোগে বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ চলছে গত ৫ বছর ধরে। আদিবাসি নারীরা স্থানীয় জাতের সবজি, ডাল, তেল, ধান ও মসল্লা বীজ রাখার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
আদিবাসি নারীরা এলাকায় ঘরে ঘরে বীজ রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। গ্রামের সকল নারী তাদের উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রতিমাসেই সভায় বসেন। গ্রামের নারীদের বীজের জন্য বাজার নির্ভরশীলতা কমানোর জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানান।
মিকরাকা নারী সংগঠনের সভাপ্রধান সাবিনা রংদি বলেন, ‘আমাদের বীজ আমাদের সম্পদ, সবাই বাজার থেকে বীজ কিনে আনে, আমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ উদ্যোগে বীজ রাখবো এবং একজন অন্যজনকে প্রদান করবো। প্রকৃত কৃষকরা সবসময়ই বীজ সংরক্ষণ করেন। কারণ বীজ হচ্ছে কৃষির প্রাণ।’
আলোচনা সভায় গ্রামের প্রবীণ নারী, পুরুষ ও যুবরা উপস্থিত থেকে বীজঘরকে আরো শক্তিশালি করার জন্য শপথ গ্রহণ করেন।