জৈব সার ও বালাইনাশক মাটি ও মানুষের জীবন নিরাপদ রাখে
রাজশাহী থেকে উত্তম কুমার
রাজশাহীর তানোর উপজেলার ছেলামপুর গ্রামের সংগঠন ছেলামপুর শাপলা নারী উন্নয়ন দল ও বারসিক’র যৌথ উদ্যোগে পরিবেশসম্মত কৃষি চর্চার ওপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সংগঠনটির ৩৫ জন নারী ও গ্রামের ১০ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় কুইক-কম্পোস্ট সার, তরল সার, নিম পাতার নির্যাস, বোর্দো মিকচার, আতা ফলের পাতার নির্যাস, ছাইয়ের সাথে কেরোসিন মিশ্রিত করে বালাইনাশক তৈরি ও ব্যবহারের বিভিন্ন দিক শেখানো হয়।
কর্মশালায় বরেন্দ্র অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বযকারী মোঃ শহিদুল ইসলাম, কৃষিবিদ অমৃত সরকার, পুষ্টি ব্যাংকের সদস্য ও সেলামপুর নারী সংগঠনের সকল সদস্যরা ও সেলামপুর গ্রামের কৃষক কৃষাণী ও বিভিন্ন পেশার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রসঙ্গে সেলামপুর নারী সংগঠনের সভাপতি মোছাম্মদ সুমি খাতুন (৩৯) বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব জৈব বালাইনাশক প্রশিক্ষণ আমরা নিজের প্রয়োজনে ও আমার গ্রামের কৃষক-কৃষাণীদের বেশ কাজে লাগবে। কারণ বর্তমান যুগে বাজার থেকে যে সবজি ক্রয় করে খাওয়া হচ্ছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে কিছু না কিছু ভেজাল রয়েছে। তাই আমরা জৈব বালাইনাশক দিয়ে সবজি উৎপাদন করব ও গ্রামের অন্যকৃষক কৃষাণীদের এটা তৈরির পরামর্শ দিব।’
অংশগ্রহণকারীরা জানান, সংগঠনের সবাই নিজ নিজ বাড়িতে বৈচিত্র্যময় শাকসবজির চাষ করেন। কিন্তু মাঝে মাঝে তা রোগ ও পোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে যায়। নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও পরিবেশের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের চাষকৃত সবজিতে ব্যবহারের জন্য জৈবসার ও জৈব বালাইনাশক তৈরির পদ্ধতিগুলো শিখে তা প্রয়োগ করতে চান।