শুধু পারাপারের সুবিধা নয়, সৌন্দর্যও বিকাশ করেছে সাঁকুগুলো
মানিকগঞ্জ থেকে এম.আর.লিটন
মনিকগঞ্জ একটি ছোট্ট শহর। শহরের বুক চিরে বয়ে গিয়েছে একটি প্রাচীন খাল। যদিও খালটিতে আগের মতো স্রোত-প্রবাহ নেই, কিন্তু এই খালটি নিয়ে শহরের নাগরিক সমাজে রয়েছে ধারুণ প্রভাব। খালটির সংস্কার এবং বাঁচাতে চলছে অনেক আন্দোলন। সেই সাথে খালটিকে বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে দেখতে চান মানিকগঞ্জের সুধীজন ।
মানিকগঞ্জ শহরের থানা মোড় থেকে খামার বাড়ি পর্যন্ত মানুষের চলাচলের জন্য খালটির মাধ্যে অবস্থিত চারটি সংযুক্ত সেতু। এসব সেতুর দূরত্বের ফাঁকে-ফাঁকে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাঁকু (পুল)। খালের দক্ষিণ পাশে মানিকগঞ্জ টাউন, আর উত্তর পাশে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজে বিজ্ঞান ভবন, ছাত্রী হল এবং আবাসিক এলাকা। ফলে প্রতিদিন এই সাঁক (পুল) দিয়ে পায়ে হেটে খালটির এপার-উপার যাতায়াত করে হাজারও মানুষ ।
পারাপারের জন্য এখানে রয়েছে সাতটি বাঁশের সাঁকু। মানিকগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে সাঁকুগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলো সাধারণতো এক বাঁশের সাঁকু নয়। একটি সাঁকু তৈরি করতে অনেক বাঁশ, লোকবল, সময় প্রয়োজন হয়। সাঁকুগুলো দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০-৩৫ ফুট এবং প্রস্থ ২ ফুট। বাঁশ ফেরে, প্যারাক গেঁথে মাচার মত করে তৈরি করা হয়েছে। চলাচলের নিয়ন্ত্রণ এবং দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য সাঁকুর দুই পাশে বাঁশ দিয়ে রেলিং তৈরি করা হয়েছে। এই সাঁকু দিয়ে দু’জন লোক এক সাথে ভালোভাবে চলাচল করতে পারে।
জনসাধারণের শুধু পারাপারের সুবিধা নয়, সাঁকুগুলো দেখতেও ভালো লাগে এবং খালের সৌন্দর্যও বিকাশ করেছে। এছাড়াও যোগ করেছে শিল্পগুণ এবং নতুনত্ব ।