করোনা সংক্রমণ কমাতে হলে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

মানিকগঞ্জ থেকে বিমল চন্দ্র রায়
‘করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করে নতুন স্বাভাবিক জীবনে যেতে হলে জনসচেতনতার বিকল্প নেই, মাস্ক ব্যবহার করা, সাবান জল/ পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিস্কার হাত চোখ, মুখ, নাকে না ধরা, ব্যবহৃত মাস্ক যেখানে সেখানে না ফেলা, নির্দিষ্ট স্থানে মুখবন্ধ নিরাপত্তাসহ রাখতে হবে। করোনাকে জয় করতে যে সকল স্বাস্থ্যবিধি আছে কোন অবহেলা না করে মানতে হবে। কোন গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং ভ্যাকসিন নিতে জন সাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’
মানিকগঞ্জ হিউম্যান রাইটস ফোরাম এবং বারসিক মানিকগঞ্জ যৌথ আয়োজনে গতকাল অনুষ্ঠিত অনলাইন সভায় উপরোক্ত বক্তব্যগুলো সভায় অংশগ্রহণকারী আলোচকবৃন্দের।


সভায় আলোচকগণ আরও বলেন, ‘ভ্যাকসিন কার্যক্রমে রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা করতে হবে। বর্জ্যসমূহ আলাদাভাবে রাখা এবং সার্জিক্যাল মাস্ক একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না, সাবান বা ডিটারজেন বা ডেটল, স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে ও ব্যবহার করা যাবে না। কাপড়ের তিন স্তরের মাস্ক পুন:পুন সাবান, ডেটল, স্যাভলন বা ডিটারজেন দিয়ে কয়েকবার ব্যবহার করা যাবে তবে অধিক ব্যবহার না করাই ভালো। এখন মাস্ক এর দাম অনেক কম তাই চিকিৎসা খরচ বাঁচাতে বা ঝুঁকি মুক্ত থাকতে, পরিবার এবং সমাজকে নিরাপদ রাখতে এতটুকু খরচ মেনে নিতে হবে। সরকার যে সকল বিধি নিষেধ দিয়েছে এবং লকডাউন বা শাটডাউন যাই বলি না কেন সবই জনস্বাস্থ্যে বা নিজস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মানতে হবে।’


আলোচকগণ বলেন, ‘করোনা মৃত্যু দেহ সৎকারে সরকারি বিধিবিধান মেনে, মৃত্যু দেহ থেকে আলাদা গাড়িতে পরিবারের সদস্য যেতে হবে। মৃত্যুদেহ দুই স্তরের পলেথিন দিয়ে ভালো করে সিল করে দিতে হবে। মৃতের ব্যবহৃত পোশাক বা উপকরন ব্যবহার করা যাবে না তা ডিসপোস করতে হবে অর্থ্যাৎ এই উপকরণ ভালোভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। অনেক সময় মৃত্যুদেহ গোছল করাতে চায় পরিবারগুলো তা করা যাবে না। কারণ মৃত্যুদেহের পেটে গ্যাস থাকে তা থেকে সংক্রমণ হতে পারে। তাই সবই সাবধানে করতে হবে । হিন্দু মৃত্যু দেহ সৎকারে অনেক সময় প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া যায় না।’ সে বিষয়টি সবাইকে বিবেচনায় নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম করে রাখার জন্য বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।


মানিকগঞ্জ হিউম্যান রাইটস ফোরাম ও বারসিক মানিকগঞ্জ যৌথ আয়োজিত এই অনলাইন সভায় সভাপতিত্ব করেন মানিকগঞ্জ হিউম্যান রাইটস ফোরামের সভাপতি সমাজসেবক ও পরিবেশকর্মী এ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারা, মালয়েশিয়া প্রফেসর ও বিশিষ্ট ফরসেনিক বিশেষজ্ঞ ড. (ডা:) নাসিমুল ইসলাম। সন্মানীত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুজন,মাািনকগঞ্জ শাখার সাধারন সম্পাদক সমাজ সেবক ইকবাল হোসেন কচি, জাতীয় মহিলা সংস্থার মানিকগঞ্জ শাখার চেয়ারম্যান নারীনেত্রী লক্ষী চ্যাট্যার্জি। উন্মুক্ত আলোচনা করেন শিক্ষাবীদ প্রফেসর উর্মিলা রায়, অর্থনীতিবীদ ও উন্নয়ন সংগঠক ড. গয়ানাথ সরকার, পদ্মাপাড়ের পাঠশালার পরিচালক শিক্ষার্থী মীর নাদিম হোসেন, প্রভাষক ও সাংবাদিক আমিনূল ইসলাম অঞ্জন, সামাজিক সংগঠন হিন্দু বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ,মানিকগঞ্জ সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আশুতোষ রায়,সমাজকর্মী ইকবাল খান। সঞ্চালনা করেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায়।

happy wheels 2

Comments