বসতবাড়ির আঙ্গিনায় শাহেদা বেগমের মিশ্র সবজি চাষ
রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন
রাজশাহী অঞ্চলের কর্ণহার থানার দর্শনপাড়া ইউনিয়ন তেতুলিয়া ডাঙ্গা গ্রামের কৃষাণী সাহেদা বেগম। বয়স ৪৫ বছর। পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৫ জন। স্বামী পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। বসত ভিটার পরিমাণ একবিঘা।
শাহেদা বেগম বাড়ির পাশে পতিত খালি জায়গায় ৩ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আসছে। বিগত দিনগুলোতে বারসিক’র বিভিন্ন সভা ও উঠান বৈঠকে তিনি অংশগ্রহণ করে তিনি সবজি চাষসহ পরিবেশবান্ধব উপায়ে ফসল উৎপাদন, নারী অধিকার, প্রাণবৈচিত্র্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন।
সাহেদা বেগম যেহেতু দীর্ঘদিন থেকে পরিবেশবান্ধব উপায়ে চাষবাস করেন সেহেতু বারসিক তার শতবাড়ি উন্নয়ন মডেলে এই কৃষাণীকে নির্বাচন করে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করে। বারসিক’র সহযোগিতায় তিনি মাচায় ও প্লট আকারে ১৪ ধরনের সবজি চাষাবাদ করছেন।
সাহেদা বেগম এ মৌসুমে ১৫০০ টাকার সিম ও পুঁই শাক বিক্রি করেছেন ইতিমধ্যে। পাশাপাশি সবজি বাগান থেকে তিনি নিজে খান ও প্রতিবেশীর সাথে বিনিময় করেন। তিনি নিজে বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন এবং এসব বীজ প্রতিবেশীর সাথেও বিনিময় করেন।
সাহেদা বেগমের বাড়িতে আম, পেয়ারা, লিচু, বরই, লেবুসহ আরো বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ রয়েছে। তিনি ফলগুলো খাবার পাশাপাশি বিক্রি করে সংসারের জন্য বাড়তি আয় করেন। তিনি বলেন, ‘এ কাজে আমার স্বামী সহযোগিতা করেন। শাকসবজি ও ফল থেকে যে আয় হয় তা সংসারেরে অনেক কাজে ব্যয় করা যায়। জৈব উপায়ে উৎপাদনের কারণে আমার সবজিগুলো নিরাপদও।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় শাকসবজি চাষাবাদ করি। পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের উৎসাহিত করি। তাতে তারা সবজি চাষে উদ্যোগ গ্রহণ করেন।’ তিনি তাদেরকে তার সংরক্ষিত বীজ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন। সাহেদা বেগম চান, গ্রামের প্রতিটি বাড়িই হয়ে উঠুক পুষ্টিবাড়ি।