লোকায়ত গইড়া পদ্ধতিতে নিরাপদ খাদ্য ও জীবন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন সোনিয়া খাতুন

বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে মো: শহিদুল ইসলাম

ভূমিকা:
খরা প্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সমস্যা একটি মৌলিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। প্রবীণদের মতে, অতীত বরেন্দ্র অঞ্চলের তুলনায় বর্তমান বরেন্দ্র অঞ্চলের দিকে তাকালে মনে হবে চারিদিকে পানি আর পানি। সবুজ আর সবুজ। খরাপ্রবণ উচ্চ বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার আঝৈর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শরিফ মিয়া (৬৫) বলেন, ‘অতীতে বরেন্দ্র অঞ্চলের রূপ এরকম ছিলোনা, ছিলো রুক্ষ এবং ধুলো বালিতে মেশানো এক খিয়ার অঞ্চল। রোদ তাপ আগেও ছিলো, দুপুরে আমরা বেরুতে পারতামনা, পানির সমস্যা আগেও ছিলো এখনো আছে। আগের তুলনায় বর্তমান সমস্যা আরো ভয়াবহ। আগে পানির উৎস ছিলো, এখন কোথাও পানি নেই। পাতালে পানি নেই, পানি নেই মাটির উপরেও, আবার আকাশ থেকেও পানি নেই (বৃষ্টিপাত কমেছে) আগের তুলনায় অনেক কম।’

শরিফ মিয়ার মতে আগে প্রাকৃতিক জলাধার, খাল খাড়ি ও পুকুড় নদীতে প্রচুর পানি ছিলো। সারাবছর পানি পেতাম। কিন্তু এখনতো কোথাও পানি নেই। পানির জন্য মাঝে মাঝে হাহাকার করতে হয়। এখন বিদ্যুৎ নির্ভর মানে। অর্থ্যাৎ পাতাল থেকে মেশিনের মাধ্যমে তুলতে হয়। পানির জন্য সব থেকে বেশি ভুক্তভোগী ও সমস্যার মধ্যে পড়ে বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবারগুলোর নারীগণ। কারণ একটি পরিবারের পানি সংগ্রহের দায়িত্ব পড়ে যায় একজন নারীর উপর। পানির সাথে নারীর এই সম্পর্ক যেন পুরুষ শাসিত সামজের একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসতে নারীদের তাই আপ্রাণ প্রচেষ্টা দেখা যায়। কখনো এই পানি সমস্যা সমাধানে নারীর লোকায়ত জ্ঞান এবং কখনো নারীর শ্রম সাধনা ও উদ্যোগগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ছোট ছোট এই মহান উদ্যোগগুলোও যে নারীর স্বাধীনতা এবং জ্ঞানকে স্বীকৃতি দেয়া দরকার এবং জাতীয় এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন নীতিতে প্রয়োগ করা দরকার, তা সময়ের দাবি। তেমনি একজন উচ্চ বরেন্দ্র অঞ্চলের নারী সোনিয়া খাতুন ( ৩০)।

সোনিয়া খাতুন তাঁর লোকায় জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এবং সংসারের সব মানুষের সাথে পরামর্শ করে সহায়তা নিয়ে নিজের পরিবারের পানি সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার জন্য তাকে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়নি এবং কোন প্রযুক্তি বিশারদের জন্য পরামর্শও নিতে হয়নি। একেবারেই নিজেদের উদ্যোগে, নিজেদের শ্রমে স্থায়িত্বশীল পরিবেশবান্ধব একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি গাইড়া পদ্ধতির মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে সারাবছর ব্যবহার করেন।

সোনিয়া বেগমের পানির সমস্যা
খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চল চাঁপাইনবাবগঞ্জের কসবা ইউনিয়েন আঝৈর গ্রামের বাসিন্দা সোনিয়া খাতুন (৩০) লেখাপড়া করেছেন দশম শ্রেণী পর্যন্ত। পরিবারে সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। স্বামী একজন ফল চাষী। ফল উৎপাদন বিক্রি করাই তাঁর প্রধান পেশা। জমি জমা বলতে তাঁদের ধানী বা ফসলের জমি মাত্র ২৬ কাঠা। সোনিয়া বেগমের বিবাহ হয়েছে সেই দশ বছর আগে। বিবাহের পর থেকেই স্বামীর বাড়িতে পানির সমস্যায় নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। চারিদিকে পুকুর জলাধারগুলো লিজ দিয়ে সেগুলোতো বাণিজ্যিকভাবে মৎস চাষ করার কারনে পানির ব্যবহার করা যায়না বা সেই পানি মালিকরা ব্যবহার করতেও দেয়না। হ্যান্ড টিউবয়েল গুলোতে আর আগের মতো পানি উঠেনা বিধায় সেগুলো অকোজো ও পরিত্যাক্ত হয়েছে। উপায়ন্তর না দেখে অনেক কষ্টে একটি ছোট মটর কিনেন পানি তোলার জন্য। প্রায় তিনশত ফিট গভীর থেকে সেই পানি তুলে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে যখন বিদ্যুৎ থাকেনা বিড়ম্বনা শুরু হয় তখনই। তিনি বলেন, ‘গ্রামে বিদ্যুৎ চলে গেলে সহজে আসেনা। আবার যখন ঝর বা কোন দুর্যোগ হয় তখন প্রায় দুই তিন বা তারও বেশি সময় বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকলে পরিবারের পানির ব্যবহারের জন্য সেই ছোট ডিপ টিউবয়েল থেকেও পানি তোলা যায়না।’ তিনি জানান, একদিকে আশাপাশের প্রাকৃতিক জলাধারগুলো যেমন ভরাট আর শুকিয়ে যাবার কারণে পানি সংকট অন্যদিকে যে কয়টি পুকুর আছে তাও আবার লিজ দিয়ে বা ব্যক্তি মালিকানার কারনে পানি ব্যবহারে বাঁধা পেতে হয়। তিনি আরো বলেন, ‘বিদ্যুৎ হীন সময়গুলোতে পানির সংকট এতোটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে খাবার পানির জন্য আমাদেরকে প্রায় দুই তিন কিলোমিটার দুর থেকেও পানি সংগ্রহ করে আনতে ’। খাবার পানি সংগ্রহ করলেও গবাদি পশু পাখি এবং বাড়ির আশাপাশে পালানি জমিতে সবজির জন্য পানি সংকট সমস্যা থেকেই যায়। পানিহীনতায় বাড়ির সবজিগুলো মরে যায়, গবাদি পশুর রোগ বালাই বেড়ে যায়। এভাবেই পানির কষ্টে কেটে যায় সোনিয়ার। কিভাবে পানির এই সমস্যা সমাধান করা যায় সহজেই নিজের মতো করে, তা নিয়ে ভাবেন তিনি।

পানি সমস্যার সমাধান খুঁজে পান সোনিয়া
পানির সমস্যার কারণে সোনিয়ার যখন তাঁর কোলের ছোট্ট শিশুকে নিয়ে অনেক দুর থেকে পানি সংগ্রহ করতে পারেন না, তখন আরো কষ্টে কাটতে হয় তাকে। স্বামীর কাজের জন্য সেই সকালে বেরিয়ে পড়ে, এদিকে সংসারে বা পরিবারের পানির সংগ্রহের দায়িত্ব পড়ে যায় সেই সোনিয়ার। একিদিকে ছোট্ট বাচ্চা অন্যদিকে বহুদুর থেকে পানি বয়ে আনা খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় সোনিয়াকে। একসময় তিনি চিন্তা করেন বাড়ির পাশে দুই কাঠা জমিতে একটি ছোট গাইড়া দিয়ে তো পানি সংরক্ষণ করা যায়। তিনি তাঁর বাপ দাদার বাড়িতে দেখেছেন বাড়ির পাশে ছোট্ট একটি গাইড়া (ছোট গর্ত বা পুকুর) থেকে তারা পরিবারের সকল পানি সংগ্রহ করতেন। দশ থেকে পনেরো ফিট গভীর করে সেখানে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা হতো, সারাবছর সেখান থেকে পানি ব্যবহার করা হতো। এই চিন্তা থেকে সোনিয়া বেগম তাঁর স্বামীর সাথে পরামর্শ করে তারা উভয়ে তাদের বাড়ির পাশে দুই কাঠার একটি পরিত্যাক্ত জায়গায় গাইড়া খনন করেন। সেসময় ছিলো বর্ষাকাল। গতবছর (২০২২) তিনি বর্ষাকালে তার স্বামীকে সাথে নিয়ে পানি সংরক্ষণের জন্য গাইড়া খনন করেন। এরপর সেখানে বৃষ্টির পানি ভরতে থাকে। সেই পানি দিয়ে তিনি তার পরিবারের সকল কাজে ব্যবহার করেন। ছোট্ট এই গাইড়া থেকে এখন তার পরিবারের পানির সমস্যা মিটে গেছে। সারাবছর তাকে আর পানি নিয়ে চিন্তা করতে হয়না। এই গাইড়ার পানি দিয়ে তিনি বাড়ির আশাপাশে সবজি ও ফলমূলের চাষ করেন। সেখান থেকে একটা বড়ো আয়ের উৎস হয়েছে। তিনি বারসিক’র সহায়তায় তার নিজের বাড়িটি দেশীয় ফলমূল এবং সবজির চাষ করেন একেবারে নিরাপদভাবে। বারসিক’র কৃষি গবেষক রায়হান কবির রঞ্জুর সহায়তায় তিনি কিভাবে ক্যারেটে সবজি এবং ওল চাষ করা যায় তা শিখেছেন। এবং নিম পাতার নির্যাস তৈরি করে কিভাবে জৈব বালাই তৈরি করা যায় তাও জেনেছেন। তিনি সেসকল উপাদান ব্যবহার করে বাড়িতে সবজি চাষ করেন। তিনি সার হিসেবে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করেন। তিনি সবসময় রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহার বিরোধী। তাদের গ্রামে গড়ে উঠা আঝৈর নারী উন্নয়ন সংগঠনের বিভিন্ন আলোচনার ম্যাধমে তিনি রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ভয়াবহতা সম্পর্কে জেনেছেন। তাই তিনি আর এসব রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করেন না। নিজের পরিবারের জন্য নিরাপদ সবজি ও খাদ্য উৎপাদন করেন। নিজের ব্যবহারের পাশিপাশি সেসকল সবজি তিনি প্রতিবেশিদেরও গিফট করেন এবং বিক্রি করেন।

একটি গাইড়া থেকে গ্রামের ২৫ টি পরিবার উপকৃত হয়
সোনিয়ার এই গাইড়া থেকে গ্রামের প্রায় ২৫টি পরিবারে প্রায় ১৫০শত মানুষ পানি সংকটের সময় পানির ব্যবহার করেন। শুধু মানুষ নয় এই পরিবারগুলোর গবাদি পশু পাখিরও সংকটকালিন পানির উৎস এই গাইড়া। পানি সংকটের সময় যখন চারিদিকে পানি থাকেনা তখন আশপামের পাখি ও বন্য প্রাণীগুলোও এখানে পানি পান করতে আসে। গ্রামের প্রান্তিক পরিবারগুলো এখানে পানি সংকটকালিন সময়ে গ্রামের মানুষ এখানে গোসল, জামা কাপড় পরিষ্কারসহ পানি নিয়ে গিয়ে বাড়ির উঠোনের সবজি গাছেও ব্যবহার করেন। একই গ্রামের হালিমা বেগম ( ৪৮) বলেন, ‘যখন খরা আর পানি থাকেনা, আবার কোন কারণে বিদ্যুৎ থাকেনা, তখন আমাদের একমাত্র পানির জন্য ভরসা এই সোনিয়ার গাউড়া।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখানে বিনা বাঁধায় সহজে নিজের পরিাবরের এবং গবাদি পশুর জন্য পানি সংগ্রহ করতে পারি।’

গাইড়াতে দেশি মাছের চাষ
গাইড়ার পানি শুধু ব্যবহারই হয়না, এই পানিতে দেশি মাছের চাষ করে নিজের পরিবারের জন্য কিছুটা হলেও মাছের চাহিদা পূরুণ করেন সোনিয়া বেগম। সোনিয়া বেগম বলেন, ‘গাইড়াতে দেশি মাছ ছাড়া হয়েছে। সেগুলো বাচ্চা দিয়ে আরো বেশি হয়েছে, শিং, টেংড়া, পুটিসহ কিছু মাছ চাষ করা হয়।’ এ ক্ষেত্রে তার পরিকল্পনা হলো- এই গাউড়ার মধ্যে আরো কিছু দেশি জাতের সংরক্ষণ করবেন। যে মাছগুলো প্রায় বিলুপ্ত বা কম পাওয়া যায় সেগুলো সংরক্ষণ করার ইচ্ছে আছে তার। পুকুরটিতে শুধু মাছই নয়, এখানে ব্যাঙেরও আবাস গড়ে উঠেছে।

গাইড়ার পানির অপচয়রোধে সোনিয়ার কৌশল
গাইড়া থেকে পানি যাতে সূর্যের আলোতে বা রোদে যেন শুকিয়ে না, বাষ্পিত কম হয় এর জন্য তিনি গাইড়ার উপরে একটি অংশে সবজির বাহান (মাচা) তুলে দিয়েছেন। সেখানে মৌসুমী লতা জাতীয় সবধরনের সবজি সবসময় থাকে। মৌসুম ভিত্তিক লাউ, কুমড়া, সীম ইত্যাদি সবজি তুলে দেন বাহানে। এর ফলে গাইড়া বা পুকুরটির বেশিরভাগ অংশ ঢেকে থাকে এবং রোদের কারণে পানি বাষ্পিত কম হয়। তিনি জানান এর ফলে গাইড়ার পানি ঠান্ডাও থাকে, ব্যবহার করা যায় সবসময়। আবার গাইড়ার পাড়টি এমনভাবে ঢালু করে তৈরি করা হয়েছে বা স্লোপিং করা হয়েছে যাতে ব্যবহার করার পর পানি আবার গড়িয়ে গাইড়াতে চলে যায়। যেমন কাপড় চোপড় ধোয়ার সময় কাপড়ের পানি আবার গাইড়াতে গড়িয়ে যায়। গইড়ার পাড়ে গোসল করলে সেই পানি আবার গাইড়াতে চলে যায়। এর ফলে পানির অপচয়রোধসহ রিসাইক্লিং হয়ে সেটি আবার ব্যবহার করা যায়।

উপসংহার
জীবন ও পানি দুটোই মিলেই আমাদের প্রাণবৈচিত্র্য। জীবনের জন্য পানি অপরিহার্য। খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের পানির সংকট দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিকে বৈশি^ জলবায়ু পরিবর্তনের আঞ্চলিক অভিঘাত ও নেতিবাচক প্রভাবের কারণে দিনে দিনে বরেন্দ্র অঞ্চলের তাপমাত্র, তাপদাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে বড় বড় বৃক্ষ নিধনসহ পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বৃষ্টিপাত আগের তুলনায় কমে গেছে। আবার প্রাকৃতিক জলাধারের উৎসগুলো দিনে দিনে নষ্ট হয়ে গেছে। খাল খাড়ি, পুকুর, দিঘি এবং নদীগুলো শুকিয়ে গেছে। ভূগর্ভস্থ পানি অধিক মাত্রায় উত্তোলনের কারণে পাতালেও পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। এর ভুক্তভোগী সব থেকে বেশি সংকটে পড়েছে বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রান্তিক এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠী। যাদের থাকার এক টুকরো জায়গা নেই তারা কিভাবে বা কোন উৎস থেকে পানি পাবে। পানির অধিকার বরেন্দ্র অঞ্চলে দিনে দিনে মানবাধিকার লংঘনের পর্যায়ে পৌছে গেছে। একজন সোনিয়া বেগম তাঁর নিজ ইচ্ছেয় এবং লোকায়ত জ্ঞান ব্যববহার করে গাইড়া (ছোট গর্ত বা পুকুর) করে যেমন তার নিজের পরিবারের পানির সমস্যার সমাধান কোন করেছে, আবার তার প্রতিবেশীদেও সহায়তা করছে। তেমনি যদি অন্যান্য গ্রামের মানুষগুলোও উদ্যোগ গ্রহণ করতো। জল, জমিহীন মানুষগুলোকে সেখানে প্রবেশাধিকার দিতো, তাহলে ভালো হতো। অন্যদিকে সরকার বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলো লিজ প্রথা-আইন বন্ধ করে সেগুলোতে প্রান্তিক মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চত করতো এবং খাল খাড়ি এবং প্রাকৃতিক জলাধারগুলো নামকাওয়াস্তে সংস্কার না করে সেগুলো সত্যিকারে সংস্কার করতো তাহলে ভূ-উপরিস্থ পানির উৎস থেকেও মানুষ পানির চাহিদা মেটাতে পারতো। আবার পানির জন্য এতোসব বাহারী প্রকল্পে টাকা খরচ না করে গ্রাম, কমিউনিটি বা পরিবার ভিত্তিক পানির চাহিদা পূরণে সোনিয়া বেগমের মতো গাইড়া পদ্ধতি চালু করতো। তাহলেও কিছুটা সমস্যার সমাধান হতো।

happy wheels 2

Comments