সাম্প্রতিক পোস্ট

দুর্যোগেও টিকে আছে হেনা আক্তারের হাওর বাড়ির

নেত্রকোনা থেখে সীমা আক্তার
বন্যায় হাওরের মানুষের জীবনকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। বসতভিটা, গরুর গোয়াল, মোরগের খোয়ার, সবজি বাগান, প্রাণিসম্পদের খাদ্য, চাষের মাছ, ক্ষেতের ফসল সবই ক্ষতি করে গেছে। বাড়ির উঠোনে যে পেঁপে ও মরিচ গাছটি ছিলো তাও মরে গেছে। কৃষাণীর ঘরে নেই বীজ। যুগ যুগ ধরে হাওরের মানুষ এই দুর্যোগের সাথে সংগ্রাম করে টিকে আছে হাওরের জলের মাঝে। একদিকে ভাঙে, মানুষ আবার নিজেকে সামলে নেয়। নিজেকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। সব কিছু পিছনে ফেলে আবার শুরু করে জীবন।


২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার পর আবার জেগে ওঠেছে হাওর পাড়ের মানুষ । বাড়ির আঙ্গিনায়, বাড়ির পাশে পতিত জায়গায় নানান জাতের সবজি চাষ করছে, নার্সারি থেকে গাছের চারা কিনে এনে রোপণ করছে বাড়ির আঙ্গিনায়। তাকে তো টিকে থাকতে হবে তার বাপদাদার ভিটেমাটিতে।


গোবিন্দশ্রী গ্রামে পশ্চিম পাড়ার হেনা আক্তার বন্যার পর বাড়ির আঙ্গিনায় গোবিন্দশ্রী বীজঘর থেকে প্রাপ্ত সবজি বীজ চাষ করছেন । ফলের চারা রোপণ করছেন। বাড়িতে পানি নামার শুরু থেকেই বস্তায় চাষ শুরু করেন। তিনি লাউ, সিম, ডাটা, লালশাক, মুলা শাক, কলমি শাক, বেগুন, পেপে, মরিচ, কুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ঝিঙ্গা, ঢেড়সসহ ১৫ জাতের সবজি চাষ করেছেন। নিজের বাড়ির ৫ শতাংশ জমিতে তিনি সারাবছর সবজি চাষ করেন। বাড়ির প্রতি ইঞ্চি জায়গা তিনি খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহার করেন। যে খাদ্য তার পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।

happy wheels 2

Comments