লাভজনক হওয়ায় শিম চাষে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকরা
জালাল উদ্দিন, সাঁথিয়া (পাবনা) থেকে
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলাধীন রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষকরা অধিক লাভ পাওয়ায় অসময়ে শিম চাষে ঝুকে পড়ছেন। সাঁথিয়া উপজেলার কৃষকরা পিয়াজসহ মৌসুমী ফসল উৎপাদনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় অসময়ে অধিক লাভ পাওয়ায় শিম চাষ শুরু করেন। রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে শিম বীজ রোপণ করেছি। রোপণকৃত বীজ থেকে শিমগাছ (চারা) বের হলে গোড়ায় মাটি দিয়ে উ”ু করে বেঁধে দিই। চারাগুলো আরো বড় হলে বাশেঁর খুঁটির সাথে গুণা এবং রশি দিয়ে মাচা তৈরি করি। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই শিমের গাছগুলে মাচায় উঠে যায় এবং ফুল ধরতে থাকে। কিছুদিনের মধ্যে ফুল থেকে পূর্ণাঙ্গ শিম ধরতে থাকে।’
এক বিঘা জমিতে শিম চাষ করতে বীজ, কামলা, বাঁশ, গুণাসহ প্রায় ৩০/৩৫ হাজার টাকা খরচ লাগে। কৃষক রিয়াজ উদ্দিন ইতিমধ্যে জমি থেকে শিম উত্তোলন শুরু করেছেন। তা বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ কেজি করে শিম স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। আগামী চৈত্র মাস পর্যন্ত শিম তোলা যাবে। এতে করে এক/দেড় লাখ টাকা লাভ হবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এছাড়া কৃষক ওয়াজেদ, রইজ উদ্দিন, মফিজ, সেকেন্দার ও আলাল জানান, ২/৩ বছর ধরে অসময়ে শিম চাষ করে আসছেন। এবার আবাদের পরিমাণ আগের চেয়ে বেশি। কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘অসময়ে শিম চাষ করে অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায়।’
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রঞ্জন কুমার প্রামানিক জানান, সাঁথিয়ার ধোপাদহ, রামচন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন স্থানে গ্রীষ্মকালীন শিম আবাদ হচ্ছে। এলাকার চাষীরা প্রায় ৫ বছর যাবৎ গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে আসছেন। প্রথমে আবাদের পরিমাণ কম ছিল। বাজারে চাহিদা ও লাভজনক হওয়ার কারণে প্রতিবছরই শিমের আবাদ বাড়ছে। অধিক লাভ হওয়ায় সাঁথিয়ার এ বছর অসময়ে প্রায় ৭ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। এবারও কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।