সরকারি সেবায় স্বনির্ভর হচ্ছে নারীরা
সিংগাইর মানিকগঞ্জ থেকে আছিয়া আক্তার
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশকে উন্নয়নের দিকে দাবিত করতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করে যােেচ্ছ। কেননা দেশের উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে, আমাদের এগুতে হবে সমান তালে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জের গৃহস্থালির কাজে নিয়োজিত নারীরা, পরিবারের ব্যয়সাশ্রয়ী কাজের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে অবদান রাখতে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করছেন। এমনি কিছ ুসফল নারীর চিত্র তুলে ধরছি এখানে।
বারসিক কতৃক আয়োজিত মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলা ও বায়রা ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করার সুযোগ মিললে, সেখানে বেশ কিছু সংগঠনও তৈরি হয়। আর এই সংগঠনগুলোতে উদ্যোমী কিছ ুনারী ও নারী নেতৃত্ব তৈরি হয়। ফলশ্রুতিতে তারা সংগঠিত হয়ে বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ করেন।
বারসিকের সহায়তায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কতৃক আলীনগর, পাছপাড়া, চারাভাংগা ও নীলটেক নারী সংগঠনে সেলাই ও হাঁস-মুরর্গিসহ ব্লকবুাটিকের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণগুলোতে ৩০ জন করে অংশগ্রহণকারী থাকেন। প্রত্যেকে ৬৫০ টাকা ভাতাসহ একটি করে সনদ পান এবং সেই সনদ দিয়ে অল্প সুদে বৃণ গ্রহণের সুবিধা পান। এই চার সংগঠনের ১২০ জন নারী মোট ৭৮ হাজার টাকার নগদ ভাতা পান।
এদের মাঝ থেকে চারাভাংগা নারী উন্নয়ন সংগঠনের ৪০ জন নারী ১২ হাজার করে মোট ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার সরকারি সহজ ঋণের সুযোগ পান। এই টাকা দিয়ে প্রত্যেক নারী নিজ উদ্যোগে গরু-ছাগল,হাস-মুরগি পালনসহ,সবজিবাগান করছেন।
এছাড়াও আলীনগর নারী উন্নয়ন সংগঠনের সদস্য মাজেদা বেগম সেলাই কাজ করে পরিবারের খরচ চালিয়ে ও বেশ কিছু টাকা সঞ্চয় করেছেন বলে জানান। এই সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি তাঁর পরিবারকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করছেন। খিছু প্রশিক্ষণার্থী তাদের নিজের জামা-কাপড় নিজেরাই তৈরি করছেন। এতে করে তাদের মজুরির টাকাটা বেচে যাচ্ছে। তারা বলছেন, ‘সব জিনিসের সাথে জামা-কাপড়ের মজুরিও বেড়ে গেছে অনেক। এই প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে আমরা অন্তত আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বানাতে পারছি।’
পাছপাড়া নারী উন্নয়ন সংগঠনে রোজিনা বেগমসহ বেশ কিছু উদ্যোমী নারী বলেন, ‘যুব উন্নয়ন কর্তৃত প্রশিক্ষণ পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে। নিজেদের জামাকাপড় নিজেরাই বানাতে পারি। এরকম সরকারি সকল সেবাগুলো গ্রহণ করতে চাই। এই সেবাগুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদেরকে স্বনির্ভর করতে পারবো।’