মাটি, পানি ও বায়ুর দূষণ কমাই
নেত্রকোনা থেকে রুখসানা রুমি
২৮ জুলাই প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে কাইলাটি ইউনিয়নের অরঙ্গবাদ, ফচিকা, দরুণবালি গ্রামে মাটি পানি ও বায়ু নির্মল রাখার বিষয়ে এক আলোচনা ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রচারণায় নানান পেশা ও শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
নেত্রকোণা জেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ফচিকা গ্রামের অগ্রযাত্রা কিশোরী সংগঠন, দরুনবালি গ্রামের ফুলপাখি কিশোরী ও কাইলাটি গ্রামে শিকড় কিশোরী সংগঠন ও গ্রামের নারীরা গ্রামের মাটি, পানি, বায়ু দূষণ রোধ করার জন্য আলোচনায় বসেন। আলোচনায় গ্রামের প্রবীণ নারী আয়শা আক্তার, ঝুমা আক্তার ও দীপালী আক্তার তাদের জীবনের গল্প তুলে ধরেন। তিন গ্রামের কিশোরীরা গ্রামে কি কি ফলের গাছ, ফুলের গাছ, ঔষধি গাছ এবং অচাষকৃত শাকসবজী লতাপাতা আছে তার একটি বর্ণনা দেন। গ্রামকে সবুজ করার জন্য সকলেই একমত হন। গ্রামের কিশোরীরা গ্রামে সীম, লাউ, কাঞ্চন ফুল, করল্লার বীজ বিতরণ করেন। এই বর্ষা মৌসুমে প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাড়িতে একটি বনজ, একটি ফলজ, একটি ঔষধি গাছের চারা রোপণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
গ্রামের নারীরা বলেন, ‘আমাদের বাড়ির আশেপাশে যে সবজি, মসলা উৎপাদন করি এগুলো বিষমুক্ত। কোন প্রকার রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়না। আমরা প্রত্যেকেই বাড়ির আঙ্গিনায় পেঁপে, মরিচ, বেগুন, পুইশাক, কলা, আদা, হলুদ গুলো লাগাই। নিজ হাতে শিশুদের জন্য খাবার তৈরি করার চেষ্টা করি।’ তাঁরা আরও বলেন, ‘বাজার থেকে সবজি ফল কিনে আনলে সেগুলোতে বিষ, কীটনাশক থাকে।’ তাঁরা গ্রামের সকল নারীদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে গাছের পাতায় লেখা প্ল্যাকার্ড ব্যবহার করে প্রদর্শন করেন।
আলোচনা শেষে গ্রামের নারীরা নিজেদের কাছে সংরক্ষিত বীজ পরস্পরের কাছে বিতরণ করেন। প্রতিটি গ্রামকে শহর বানানো নয় সবুজায়ন করতে হবে। নিজের সম্পদ লোকায়ত জ্ঞান ও গবেষণা ও প্রযুক্তি জ্ঞানকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।