পরী টুডুর সংকল্প ও সাফল্যের গল্প
তানোর রাজশাহী থেকে সুন্দরী টুডু
তানোর উপজেলার সিন্দুকাই গ্রামের পরী টুডু (৩৯) এবং তার স্বামী শিমন কিস্কু (৪৫) তিন সন্তান, এক ছেলে ও দুই মেয়ের সঙ্গে বসবাস করেন।

২০১৭ সালের আগে পরী টুডুর শ্বশুর রবি কিস্কু (বয়স ৮৫) একটি নার্সারি পরিচালনা করতেন। নার্সারির পাশাপাশি তিনি টুকটাক সবজি চাষও করতেন। কিন্তু ২০১৭ সালে তার শ্বশুর মারা যাওয়ার পর নার্সারিটি অযত্নে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
এরপর, ৩ নভেম্বর ২০২৩ সালে পরী টুডু বারসিকের সঙ্গে যুক্ত হন এবং সিন্দুকাই নারী উন্নয়ন সংগঠন গঠিত হয়। সংগঠনের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন সভা, বীজ বিনিময়, বীজ সংগ্রহ, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষার বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও আলোচনায় অংশ নেন। এসব কার্যক্রম তাকে অনুপ্রাণিত করে এবং বারসিকের সহায়তায় কিছু সবজি বীজ পেয়ে চাষ শুরু করেন। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে বীজ বিনিময়ের মাধ্যমেও চাষ সম্প্রসারিত করেন।

এখন পরী টুডুর একটি সবজির বাগান রয়েছে। তিনি নিজের পরিবারের জন্য নিরাপদ সবজি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং উদ্বৃত্ত সবজি প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিনিময় করছেন। মসলাসহ নানা ধরনের সবজি তিনি চাষ করছেন এবং সম্পূর্ণ জৈব সার ব্যবহার করছেন। কৃষি-প্রতিবেশ বিদ্যার ধারণাও তিনি অর্জন করেছেন।
বর্তমানে পরী টুডু তার এই সাফল্যে খুবই আনন্দিত ও আত্মবিশ্বাসী। তার উদ্যোগ অন্য নারীদের জন্যও একটি অনুপ্রেরণার গল্প হয়ে উঠেছে।