প্রতিটি অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর যেন এক একটা শিক্ষা

শ্যামনগর সাতক্ষীরা থেকে ফজলুল হক

‘গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই, গাছ লাগাই জীবন বাঁচা ‘ এমন স্লোগানকে সামনে রেখে বারসিক’র উদ্যোগে এবং সহযোগিতায় সম্প্রতি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের তুজুলপুর গ্রামে বারসিক’র সহযোগিতায় গড়ে ওঠা ইরারবের গাছেরপাঠশালা, কৃষি বীজ ব্যাংক ও কৃষি জাদুঘর দেখতে একটি অভিজ্ঞতা সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাছের পাঠশালায় শত শত ঔষধি, ফলজ, বনজ, শোভাবর্ধনকারী, গাছের বৈচিত্র্যের সাথে পরিচিত হওয়া, গাছের গুনাগুণ জানা এবং কৃষি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হারানো দিনের কৃষি বিভিন্ন উপকরণ দেখতে উপজেলা জনসংগঠনের সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কুমুদ রঞ্জন গাইন, বাদঘাটা আইসিএম কৃষি ক্লাবের সভাপতি দেবু রঞ্জন, সংকরকাটি কৃষি নারী সংগঠনের সভানেত্রী নাজমা বেগম, চণ্ডিপুর কৃষি সংগঠনের সভাপতি দিলীপ তরফদার, ধুমঘাট শাপলা নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভানেত্রী অল্পনা রানী মিস্ত্রি দাতিনাখালী বনজীবী নারী সংগঠনের সভানেত্রী শেফালি বেগম, পাখিমারা পরিবেশবান্ধব আইএফএম কৃষি নারী সংগঠনের সভানেত্রী রাবেয়া সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, এসএসএসটি উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি আলী হাসান, বারসিক পরিচালক পাভেল পার্থ, শ্যামনগর বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারি পার্থ সারথী পাল, কর্মসূচি কর্মকর্তা মফিজুর রহমান,যুব সংগঠক ফজলুল হক,এবং আসাদুল ইসলাম অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরে অংশগ্রহণ করেন।

গাছের পাঠশালায় ইয়ারব হোসেন সকল গাছের গুনাগুণ ও পরিচিত করতে ঘুরে ঘুরে দেখান অভিজ্ঞতা সফরে যাওয়া সকলকে। গাছের পাঠশালা ও কৃষি জাদুঘর দেখে শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গাছের পাঠশালার মত এক স্থানে শত শত বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বৈচিত্র্য বাংলাদেশের আর কোথাও আছে কিনা আমার সন্দেহ হয়। আর কৃষি জাদুঘরে হারানো দিনের কৃষি উপকরণ দেখে আরো ভালো লেগেছে।’নাজমা বেগম বলেন, ‘আমি মুগ্ধ হয়েছি গাছের পাঠশাল ও কৃষি জাদুঘর দেখে। এখান থেকে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু জানতে পারবে।’ দিলীপ তরফদার বলেন, ‘গাছ পাগল দেখেছি কিন্তু ইয়ারবের মত গাছ প্রেমিক আমি দেখিনি। একই স্থানে প্রায় ৬ শত থেকে ৭ শত প্রজাতির গাছ আমি জীবনে কখনো দেখিনি আর বারসিককে ধন্যবাদ জানাই ইয়ারব সাহেবের গাছের পাঠশালা গড়ে তুরে সহযোগিতা করার জন্য।’ হাফিজুর রহমান ও আলি হাসান বলেন, ‘গাছের পাঠশালায় আবার সুন্দরবেনর গাছের কর্নার আছে। গাছগুলো মিষ্টি পানিতেও যে হয়, তা আমি আগে জানতাম না। সব মিলিয়ে আমার আসা স্বার্থক হয়েছে।’

পরিশেষে ইরারব হোসেন অভিজ্ঞতা সফরে যাওয়া সকলকে ফুলের চারা উপহার নিয়ে সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা সফর শেষ করে ব্যতিক্রম উদ্যোগ গাছের পাঠশালা ও কৃষি জাদুঘরের আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুভ কামনা জানিয়ে সকলে ফিরে আসেন।

happy wheels 2

Comments