কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা ভালো রাখে মাটি-পানি-বায়ু ও জীবন
নেত্রকোনা থেকে রনি খান
কৃষিপ্রতিবেশ, জলবায়ু ন্যায্যতা ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব পরিস্থিতির উপর গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রনয়ন বিষয়ে সাংবাদিক, ভোক্তা ও নাগরিক সমাজ এর সদস্যদেরকে নিয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়েছে নেত্রকোনা উপজেলা পরিষদ হলরুমে। নেত্রকোনা জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার ২৫জন সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও ভোক্তার পর্যায়ের প্রতিনিধি নিয়ে ৩০ জন সদস্য আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম। সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন চন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ লেখক আনোয়ার হাসান। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সহায়কের ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ আলী বিশ্বাস, পরিচালক, প্রাণবৈচিত্র্য ও খাদ্যনিরাপত্তা বিভাগ। প্রথমেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী অহিদুর রহমান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, ‘আমাদের কৃষি আজ নানা সংকটের সম্মুখিন। জলাভূমি কমছে। কমাছে মাছ, জলজ খাবার। রাসায়নিক কৃষি নিরাপত্তা দিলেও নিরাপদ খাদ্যের সংকট বাড়ছে দিন দিন।’
কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ূ ন্যায্যতা ও খাদ্যসার্বভৌমত্ব বিষয়ে আলোচনার পর অংশ্রহণকারীরা নেত্রকোনা অঞ্চলের কৃষিপ্রতিবেশ অবক্ষয়ের বিষয়টি তুলে ধরেন। আলোচনায় বলা হয়, ‘এগ্রোইকোলজি’ বা কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা হলো বিজ্ঞান, নীতি-দর্শন, অনুশীলন-চর্চা এবং জনআন্দোলনের এক সামগ্রিক সমন্বয়। টেকসই খাদ্যব্যবস্থা রূপান্তরের জন্য উপযোগী কাঠামোকে বুঝতে সহায়তা করে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা। কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা সামাজিক ও রাজনৈতিক মাত্রাগুলোকে সন্নিবেশন করে আঞ্চলিক খাদ্যব্যবস্থার সুশাসনকে নিশ্চিত করে, যা, খাদ্য সার্বভৌমত্বের আন্দোলনকেবেগবান করার কথা আলোচনায় উঠে আসে।
আলোচনায় যেসব বিষয় ওঠে আসে তা হলো, প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার সুরক্ষা, কৃষকের স্থানীয় বীজসম্পদ সংরক্ষণ, কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা, জৈবকৃষি চর্চা, ভূগর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা, ফসলবৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা, জৈবকৃষি চর্চাকে সম্প্রসারণ ,কৃষকের মাঝে সচেতনতা তৈরি, জলাধারগুলোকে খনন ও সুরক্ষা করা, জনআন্দোলন শুরু করা, মাটিকে ভালো রাখার জন্য, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করা।
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন রনি খান।