প্রতি ইঞ্চি মাটি গড়বো সোনার খাঁটি
রাজশাহী থেকে উত্তম কুমার
‘প্রতি ইঞ্চি মাটি গড়বো সোনার খাঁটি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মোহর গ্রামের মোঃ মজিবুর রহমান (৫৭) তার বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় আদা চাষ করেন বস্তা ও ক্যারেট ব্যবহার করে। পতিত এই জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য আদা চাষ করেন।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2023/03/325826642_1339608376607632_6216559550820576178_n-1024x768.jpg)
বারসিক’র সাথে পরিচিতি হওয়ার পর জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করা যাবে সে বিষয়ে আলোচনা করেন। বারসিক তাকে ক্যারেট ও বস্তা পদ্ধতিতেও ফসল চাষ করা যায় সেই ধারণা দেয়। এটা জেনে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ফসল চাষ করার।
তারই প্রেক্ষাপটে মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ২০ বস্তাতে আদা রোপণ করেন। তিনি জৈব পদ্ধতিতে এই আদা চাষ করেন। এছাড়া তিনি পরীক্ষামূলক সমতল মাটিতেও দুইটি আদার বীজ রোপণ করেন। উদ্দেশ্য ছিল যদি সমতল মাটিতেই হয় তাহলে বস্তা অথবা ক্যারেটে করার প্রয়োজন নাই।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2023/03/332767834_1562440767570598_7277972074348543462_n-768x1024.jpg)
কিন্তু দেখা গেছে সমতল মাটিতে ফসল হয়নি। কিন্তু বস্তাতে বেশ ভালো ফসল হয়েছে। ২০টি বস্তাতে প্রায়ই ১১ কেজি আদা ফলন হয়েছে। ফসলটি উত্তোলন করা হয়েছিল পার্শ্ববর্তী আরো কিছু কৃষককে একসঙ্গে নিয়ে। তারাও এই পদ্ধতিতে পরিত্যক্ত জায়গায় ফসল উৎপাদন করতে উদ্বুদ্ধ হন।
মোঃ মুজিবুর রহমান তার আদার ফসল নিয়ে খুব সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। ফলন ভালো হওয়ায় তিনি এবার ১০০ টি ক্যারেটে দেশি ওল ও আদা রোপণের সিদ্ধান্ত নেন।
এভাবে আমরা বস্তা কিংবা ক্যারেট অথবা মাটিতেই নানান ফসল ফলাতে পারি। এতে করে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয়।