আদাচাষ করে ভূমিহীন পরিবারগুলো স্বচ্ছল হওয়ার চেষ্টা করছেন

চাপাইনবাবগন্জ থেকে রঞ্জু আকন্দ

সম্প্রতি চাপাইনবাবগন্জ জেলার নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের খড়িবোনা গ্রামের সোহাগ পুষ্টিবাড়িতে ২৫টি বস্তা ও ৩০টি ক্যারেটে আদা চাষ গবেষণা করা হয় পরিত্যক্ত জায়গায়। ফলাফল দেখার জন্য আশেপাশের গ্রামের ৩০টি ভুমিহীন পরিবারকে সোহাগ পুষ্টিবাড়িতে বারসিক’র সহায়তায় অভিজ্ঞতা বিনিময় করানো হয়।

তার ধারবাহিকতায় গতবছর ৩০টি পরিবার ক্যারেটে বাড়ির আশেপাশে পরিত্যক্ত জায়গায় আদা চাষ করে সংসারের চাহিদা পূরণ করছেন। এই বিষয়ে আঝইর গ্রামের মজিবুর (৪৫) বলেন, ‘আমার বাড়ির (দিঘি) ভিটা ৮ শতকে আমার বসবাস আঙ্গিনা ১ শতক বর্ষা হলে কাদা হয়। সেজন্য পাকা করি। পাকার উপরে ক্যারেটে আদা চাষ যে যায় তা আমি কখনই ভাবিনি। বারসিক’র এর পরামর্শে আমি একটাতে চাষ করি। এতে ৪ মাসেই আমার আদার চাহিদা পূরণ হয়।’ আঝইর গ্রামের রেবিনা বেগম (৪৩) বলেন, আমার ৩টি ক্যারেটে আদা চাষ থেকে আমার পাতা দিয়ে ৫ মাষের চাসহ সংসারে অন্য চাহিদা পূরণ হয়েছে। আগামিতে বেশি করে চাষ করবো।’

অন্যদিকে খড়িবোনা গ্রামের কৃষক বেলাল (৪০) হোসেন ৭টি ক্যারেটে আদা চাষ করেন। তিনি বলেন, ‘আদা গাছ জীবনে প্রথম দেখলাম। এবার চাষ করে আদার চাহিদা পূরণ করছি।’ বারসিক’র পরামর্শে এবছর মোট ৫০টি পরিবারে ১৫০টি ক্যারেটে আদা আদা চাষ করছেন কৃষকরা। আগামিতে এ চাষ অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে জানান বেলাল হোসেন।

happy wheels 2

Comments