সব পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে আগামির বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে
তাসমিয়া তহুরা ও রুখসানা রুমি
নেত্রকোনা জেলার পৌর এলাকায় ঋষিপাড়ায় বসবাস করেন ১৬৫টি ঋষিপরিবার। হাওর পাহাড় ও সমতলের জনগণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নানামুখী ক্ষতির সম্মুখীন। বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, শহরের দলিত নারী, শিশু, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধি সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে একেক অঞ্চলের জনগোষ্ঠী একেক ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন।
অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যুব জনগোষ্ঠী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগগুলো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চুড়ান্তভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। উক্ত বিষয়কে সামনে রেখে ঋষিপাড়ার কিশোরী সংগঠনের উদ্যোগে এবং বারসিক’র সহযোগিতায় ‘কাউকে পিছনে ফেলে নয়, সবার জন্য চাই বাসযোগ্য শহর’ এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে ঋষিপাড়ার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আ. হেলিম, কলেজ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা-সংস্কৃতি বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্য ও জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক আলপনা বেগম।
ঋষিপাড়ার নারী-পুরুষ-কিশোরীরা তাদের এলাকায় জলবদ্ধতা, পানীয় জলের অভাব, মাদক, বাসস্থানের সমস্যা, শিক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। আলোচনায় প্রধান অতিথি বলেন, ‘সরকার প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। সকল পেশার মানুষকে সাথে নিয়েই আগামির বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে।’ তিনি ঋষিপাড়ার জনগোষ্ঠির জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
শহরের দলিত মানুষের নানা সংকট তৈরি হচ্ছে জলাবায়ু পরিবর্তনের কারণে। প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন ও সম্পদহানি ঘটছে। একই সঙ্গে তার খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি সব বিষয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বঞ্চনাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং একইসঙ্গে বাড়িয়ে দিচ্ছে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য।