বারসিক’র সহায়তায় সাতক্ষীরায় ফলদ গাছের চারা বিতরণ
উপকূল থেকে বাবলু জোয়ারদার
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দেবী দুর্গা বরণের মধ্য দিয়ে, স্থানীয়দের আয়োজনে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের উপস্থিতে খোলপেটুয়া নদীতে বাহারি সাজে সজ্জিত ইঞ্জিন চালিত ছোট-বড নৌকায় দর্শনার্থীদের মাঝে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহযোগিতায় ১০ হাজার ফলজ গাছের চারা বিতরণ করে ঝাপা সংগ্রামী যুব ফাউন্ডেশন।
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ উজ জামান (সাঈদ) গাবুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফিউল আযম লেলিন, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, ভবতোষ কুমার মন্ডল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ডালিম ঘরামী, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জি, এম, আব্দুর রউফ ও সাংবাদিকগণ।
বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা, আটুলিয়া, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের দুর্গা প্রতিমা নিয়ে মিলিত হয় খোলপেটুয়া নদীতে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় পরিক্রমার পালা শেষ করে সূর্যাস্তের আগেই দশমীতে দশের গাছ বিতরণ ও বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বিজয়া দশমী।
সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শাান্তির বাণী প্রচারের মাধ্যমে উপকূল সুরক্ষায় দশমীতে বিতরণ করা এই গাছগুলো আমাদের দশের গাছ হয়ে সবাইকে সুরক্ষিত রাখবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা
উল্লেখ্য যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই এলাকায় লবণাক্ততার পরিমান দিনদিন বেড়েই চলেছে। দিন যত যাচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। আর্থিক, সামাজিক দুরাবস্থার কারণে উপকূলীয় এলাকায় মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। নদীর বাঁধভাঙন, লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে মানুষের সম্পদের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে তাদের মধ্যে নানা ধরনের দ্বন্দ্ব সংঘাতের ঝুঁকি আরও বেড়ে গিয়ে সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট হতে পারে। এর পাশাপশি পরিবেশের ক্ষতির কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর সরাসরি নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকা যেমন কৃষি, মৎস্য বনজ সম্পদ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের উপর মানুষের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে দিতে পারে।