প্রাণ-প্রকৃতি-জলাভূমি-পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ সংহতির আহ্বান
নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে “করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ সংহতির আহ্বান জানিয়ে নেত্রকোনা পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক, সবুজ সংহতি ও অক্সিজেন যুব সংগঠনের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা, রচনা প্রতিযোগিতা ও কালেক্টরেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে প্রকৃতি বন্ধন ও গাছ বিরতণ এর মধ্য দিয়ে পরিবেশ দিবস পালন করা হয়েছে।
র্যালি ও আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রাফিকুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ, নেত্রকোনা পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিবেশ কর্মীসহ অনেকেই।

আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন সেভ দ্যা এনিম্যালস সংগঠনের আরেফিন রাসেল, সবুজ সংহতির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা হৃদয় সাগর,এনজিও প্রতিনিধি, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিবেশ কর্মীসহ অনেকেই।
প্রধান অতিথির ভাষণে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিফুজ্জামান বলেন, “আমাদের পরিবেশ দূষণ দিন দিন বাড়ছে বন, হাওর, নদী , জলাশয়, পুকুর কমে যাচ্ছে, আমরা দেখেছি পৃথিবী আগের চেয়ে অনেক বেশী উষ্ণ হয়ে যাচ্ছে। মরুকরণের দিকে যাচ্ছে আমাদের দেশের মাটির অবস্থা।’ তিনি সকল প্রতিষ্ঠানকে এ বছর যথাসাধ্য গাছ রোপণ করার পরামর্শ প্রদান করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের এ অবস্থা থেকে ফিরে আসতে হলে পরিবেশের প্রতিটি উপাদানকে ভালো রাখতে হবে। পানির ব্যবহারকে সাশ্রয়ী করতে হবে।’

সেভ দ্যা এনিমেলসের সভাপতি সাংবাদিক আরেফিন রাসেল বলেন, “আমরা বনকে ধ্বংস করে মাটির ক্ষয় বাড়িয়ে দিচ্ছি। বন্যপ্রাণীগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ পর্যন্ত শতাধিক বিরল প্রজাতির প্রাণিকে লোকালয় থেকে উদ্ধার করে বনে পাঠিয়েছি। কিন্তু এগুলো সমাধান না। বনকে রক্ষা করলে প্রাণিরা তার পরিবেশে অবস্থান করতে পারবে।”
সবুজ সংহতির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা হৃদয় সাগর বলেন, ‘হাওর নদী আজ আষাঢ় মাসেও পানিশূন্য থাকে। হাওরে মাছের প্রজনন কমে যাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে মাটির নীচের পানি আজ শেষ। পর্যটনের নামে হাওরে পলিথিন ও পরিবেশ দূষণকারী নানা উপকরণ ফেলে মাটি ও মাটিকে নষ্ট করছে।’
অনুষ্ঠানের শেষে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের ছাড়া পুরষ্কার হিসেবে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু সাঈদ।