প্রকৃতির প্রতি সহিংসতা না করি, প্রাণবৈচিত্র্যপূর্ণ পৃথিবী পাবো
নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান
নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন, বারসিক, সম্মিলিত যুব সমাজ, উদ্দীপনের যৌথ আয়োজনে প্রকৃতিবন্ধন, পাখির প্রতি ভালোবাসায় গাছে হাড়িবাঁধা, আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস পালন করা হয়েছে আজ ২২ মে।
এবছরের আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবসের প্রতিপাদ্য হলো: চুক্তি থেকে কর্ম: প্রাণবৈচিত্র্যকে ফিরিয়ে আনো। আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন আটপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী খায়রুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি )উপজলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নন্দন, বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো.অহিদুর রহমান, সহযোগি সমন্বয়কারী শংকর ¤্রং, কর্মসূচী কর্মকর্তা মো. আলমগীর, শিক্ষা-সংস্কৃতি-পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি ফৌওজিয়া নাসরিন, অদম্য বাংলাদেশের সদস্য সচিব রনি খান, সম্মিলিত যুব সমাজের মো: জাকির হোসেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ৭০ জন।
আলোচনা সভাপ্রধানের ভাষণে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘আমরা মানুষ যারা আছি তারা প্রকৃতি প্রতি সদয় না হলে অনেক প্রাণসম্পদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পরিবেশ প্রকৃতিকে ভালো রেখে আমাদের উন্নয়ন কাজ করতে হবে। ব্যাঙ, শামুক, পাখি, গাছ রক্ষায় যেমন কাজ করতে হবে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম শিক্ষার্থীদেরকেও সচেতনভাবে প্রকৃতি রক্ষার শিক্ষা দিতে হবে।’
এর আগে সভায় প্রথমেই দিবসটির প্রতিপাদ্য তুলে ধরে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো.অহিদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মানুষের কর্মকান্ড ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের জলাভূমি, বন, পাহাড়, নদীর প্রতি সহিংসতা করছি। ফলে প্রকৃতি থেকে মানুষের বন্ধু পাখি, গাছ, মাছ, বন্যপ্রানি, মৌমাছি, ব্যাঙ, কেঁচো, শামুক বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। প্রাণির আবাসস্থল আমরা নষ্ট করে ফেলছি। তাই মানুষে প্রাণিতে একধরণের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। প্রকৃতির প্রতি সহিংসতা না করি, প্রাণবৈচিত্র্যপূর্ণ পৃথিবী পাবো।’
আলোচনা শেষে উপজেলা চত্বরে প্রকৃতি বন্ধনের আয়োজন করা হয়। প্রকৃতিবন্ধনে ধানমন্ডির গাছকাটা আন্দোলনে প্রতি সংহতি, জলাভূমি রক্ষা, বনপাহাড় রক্ষা, হাতির আবাসস্থল রক্ষা, বন্যপ্রাণির প্রতি সদয় ও আইন মেনে চলা, নদী রক্ষা, বাস্তুতন্ত্র পূনঃরুদ্ধার করাসহ ২০ দাবি জানানো হয়। সবশেষে উপজেলা চত্বরে শতবর্ষী গাছে পাখির প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ ও সচেতনতা তৈরির জন্য পাখির বিকল্প বাসা ৪০টি হাড়ি বাঁধা হয়।