সাম্প্রতিক পোস্ট

ফুল গাছ লাগাই, সৌন্দর্য্য বাড়াই

ফুল গাছ লাগাই, সৌন্দর্য্য বাড়াই

নেত্রকোনা থেকে রুখসানা রুমী

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার একটি গ্রাম নোয়াদিয়া। এ গ্রামের যুবকরা একত্রিত হয়ে গ্রাম পর্যায়ে গড়ে তুলেছেন ‘ধান শালিক নদী হাওর’ নামের একটি যুব সংগঠন। সংগঠনটি এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, পুষ্টির চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করে আসছেন।

20180110_125123-W600

সংগঠনটির সদস্যদের বিশ্বাস, সুন্দর পরিবেশ মানুষের মনকে সুন্দর, মানুষের মধ্যে দায়িত্ববোধ সৃষ্টি ও বিনয়ী করে তোলে। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষ রোপণের গুরুত্বটি সংগঠনের সদস্যরা অনুধাবন করতে পেরেছেন। তাই তারা পরিবেশ সুরক্ষায় এবং এলাকায় প্রাণবৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সংগঠনের উদ্যোগে এলাকার বিভিন্ন রাস্তার ধারে, স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ প্রাঙ্গনে স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করেছেন। সংগঠনের সদস্যরা অনুদানের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে সে টাকায় ফুল গাছের চারা কিনে নোয়াদিয়া একতা উচ্চ বিদ্যালয় ও নোয়াদিয়া মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফুলের বাগান তৈরি করেছেন। সংগঠন ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে স্কুল ও মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে যেসব ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে শিউলি, সাদা, নীল, গোলাপী ও রক্তজবা, নীল ও সাদ দূর্বাফুল, রজনীগন্ধা, ঘাসফুল চামেলী, গাদা ফুল (চার জাতের), সাদা গোলাপ ও লাল গোলাপসহ মোট ৪৮টি ফুলের চারা রোপণ করেছে।

নতুন প্রজন্মকে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছের সাথে পরিচিত করা এবং চারাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়। যুবকদের পাশাপাশি গ্রামের এক প্রবীণ ব্যক্তি জজ মিয়া শিক্ষার্থীদের সাথে স্কুল প্রাঙ্গনে ফুল গাছের চারা রোপণ করেন এবং এবিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনা করেন। পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনকে আরো গতিশীল করার জন্য তাদেরকে এ ধরণের উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

20180110_125342-W600

স্কুল ও মাদ্রাসা পর্যায়ে বৈচিত্র্যময় ফলের চারা ও গাছ রোপণের ফলে স্কুল ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল প্রাঙ্গন ও নিজ নিজ বাড়িতে ফুলের চারা রোপণের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্কুল ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীরা অনেক সচেতন হয়েছে।

happy wheels 2

Comments