প্রবীণ কৃষকের পেনশন স্কিম চালুর দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

প্রবীণ কৃষকের পেনশন স্কিম চালুর দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম

‘ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ কৃষকের জন্যে পেনশন স্কিম চালু ও আসছে নতুন অর্থ বাজেটে পেনশনের জন্যে আলাদা অর্থ বরাদ্দের’ দাবিতে আজ রবিবার (২৭ মে, ২০১৮) রাজশাহীর কৃষকগণ সংবাদ সম্মেলন ও রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

BARCIK..

বেসরাকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক (বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজিনাস নলেজ) ও বরেন্দ্র অঞ্চল কৃষক জনসংগঠন সমন্বয় পরিষদের যৌথ উদ্যেগে রাজশাহী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পেনশন স্কিম চালুর দাবিতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন, কৃষক রায়হান জুয়েল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বরেন্দ্র অঞ্চল কৃষক জনসংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক চাষী মোঃ রহিম উদ্দীন সরকার, সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক নুর মোহাম্মদ,নারী নেত্রী রহিমা বেগম, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদ্লু ইসলাম, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, চ্যানেল আই রাজশাহীর স্টাফ রিপোর্টার আবু সালে মোঃ ফাত্তাহ, বারসিকের সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা আমৃত কুমার সরকার,ইয়্যাস’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শামীউল আলীম শাওন প্রমূখ।

BARCIK

সংবাদ সম্মেলন ও স্মারকলিপিতে কৃষকগণ অতিদ্রুত ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ কৃষকদের জন্যে কৃষক পেনশন স্কিম চালুকরণের জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণসহ আসছে বাজেটে (২০১৮-২০১৯ অর্থবছর) ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ কৃষকদের জন্যে আলাদা অর্থ বরাদ্দ রাখার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “একজন কৃষক তার জীবনের গুরত্বপূর্ণ অংশ ব্যয় করে অন্যের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু তার পরিণত বয়সে নিজের পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে হিমশিম খেতে হয়। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তার এই নিরন্তর সংগ্রামকে মূল্য না দিয়ে কর্মক্ষম অংশকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। ফলে তাকে অন্যের মুখাপেক্ষী হিসেবে থাকতে হয়। কোনভাবেই কোনখানে তার কৃষি উৎপাদনের অবদানকে চিন্তায় রাখা হয় না। কর্মক্ষমতা হারানোর ফলে কৃষি উৎপাদক কৃষকেরই খাদ্যাভাব শুরু হয়। তাকে খাদ্যের জন্য অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়। স্বয়ং কৃষকই তার খাদ্যের স্বাধীনতা হারান। খাদ্য উৎপাদকই যখন খাদ্য প্রাপ্তিতে শংকাগ্রস্থ হন; তখন নতুন নতুন খাদ্য উৎপাদক তৈরীতে বাধাগ্রস্ত হয়। কৃষক কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহ হারান। নতুন নতুন কৃষক তৈরী না হয়ে কৃষক সন্তান বিকল্প কর্মসংস্থানে চলে যেতে থাকে। কৃষি ব্যবস্থায় এক ধরনের শূন্যতা বিরাজ করে। অনেক সময় কৃষক তার জিবিকার স্বার্থে জমি হারান ( জমি বিক্রি করেন)। বানিজ্যিক কৃষিতে মানুষ ধাবিত হয়। ফলে কৃষিতে আর কৃষকের নিয়ন্ত্রণ থাকছে না। পুরো ব্যবস্থায় একজন কৃষক ক্রমাগত কৃষি থেকে দূরে চলে যাচ্ছে এবং একই সাথে সকল ক্ষেত্র থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন, “যে কৃষকের কারণে দেশ আজ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে সেই কৃষকের জন্য পেনশন স্কিম চালু করা এখন সময়ের দাবি। তিনি এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেন।

happy wheels 2

Comments