বর্তমান প্রজন্মকে এগুলো দেখাতে চাই

সাতক্ষীরা থেকে মো. আসাদুল হক

সাতক্ষীরায় মুজিব বর্ষ পালন ও কেন্দ্রিয় পাবলিক লাইব্রেরির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বই মেলায় হারিয়ে যাওয়া বিলুপ্ত প্রায় কৃষি ও কৃষকের ব্যবহৃত বীজ এবং কৃষি উপকরণ প্রদর্শন করা হয়েছে । ২৫ নভেম্বর মেলার শেষ দিন বারসিকের সহযোগিতায় গড়ে ওঠা ব্যতিক্রম প্রতিষ্ঠান  গাছের পাঠশালা এবং সাতক্ষীরা বীজ ব্যাংক ও কৃষি যাদুঘর এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে ।

77095816_2678710735558368_4433136466926764032_nএ সময় কৃষকের ব্যবহৃত বিভিন্ন রকমের থালা, বাটি, কাসার হাতধোয়া পাত্র, হুক্কা, ভাত বহন করা ৪০ বছর আগের বাগ, কাচি, নিড়ানী, গাছ কাটা ঢোল, মাছ ধরা দোড়, কাসার বদনা, তৈল মাড়াই করা ঘানি, শতাধিক জাতের ধানের বীজ, শস্য বীজ, বিভিন্ন নদী-খাল-বিলের পানি, কৃষকের আনন্দের ঢোল, একতারা, ঘুমুর, চাবুক, হারিকেন, মাটির কুপি, কাসার কুপি, ধানের গোলা, ঢেঁকি, বাসুই (মই), বিভিন্ন সাইজের মাপার জন্য বাটকারা, পান খাওয়া যাতা, কাসার লবনের পাত্র, ক্ষেতে পানি দেওয়ার পাত্র, গরুর গাড়ি, কয়েকশ বছরের পুরনো আয়রন মেশিন, মাছ ধরার জাল, মাপার দাঁড়িপাল্লা, কাসার বালতি, কৃষকের মাথার টুপি, ধান ঝারা জালি, মই, মাছ ধরা পোলো, বিচলী কাটা বটি, বসার পিড়ি, কোদাল, ঘন্টা, পিতলের সাপ, খাড়া, সন্ধ্যা পূজা দেওয়া বাতির পাত্র, কৃষকের ব্যবহৃত রেডিও, ধামা, রুটি বানানো পিড়ি, লাঙল, বাবুই পাখির বাসা, ঢুলিসহ কয়েকশ ধরনের উপকরণ ।

বীজ ব্যাংক ও কৃষি যাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ইয়ারব হোসেন জানান, “কৃষকের এসব ব্যবহৃত উপকরনে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে । তাই এসব সংরক্ষণ করে বর্তমান প্রজন্মকে এগুলো দেখাতে চাই কৃষকরা আমাদের অন্ন জোগাতে আগে কি ব্যবহার করতো”।

happy wheels 2

Comments