খাদ্য যোদ্ধা হিসেবে কৃষকের পেনশন চালু করতে হবে
সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে শাহীনুর রহমান
কৃষিকে সম্মান পেশা হিসেবে স্বীকৃতি ও কৃষককে খাদ্যযোদ্ধা হিসেবে সম্মান করে কৃষকের সরকারি পেনশন চালুর দাবি করেছেন সিংগাইর উপজেলা কষি উন্নয়ন সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা এই দাবি পূরণের জন্য সম্প্রতি সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. যুবাযের ও মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.নাজমুস সাদাত সেলিম মহদোয় এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সিংগাইর উপজেলা কৃষি উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি মো. রোস্তম আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. ইমান আলী, মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি করম আলী মাষ্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মোজাম্মেল হক এবং প্রবীণ কৃষক মোঃ ইব্রাহিম মিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারসিক কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম ও রাশেদা বেগম।
আলোচনা সভায় মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক নাজমুস সাদাত সেলিম বলেন, “কৃষকের পেনশন চালু করা সময়ের দাবি। আমিও কৃষকের এই দাীির সাথে একমত পোষণ করি।” তিনি আরো বলেন, “আমি আজকের মধ্যে কৃষকের এই দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রেরণ করবো।”
আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, কৃষকই হচ্ছে এ দেশের খাদ্য যোদ্ধা। একজন কৃষক প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে সংগ্রাম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করছেন। কিন্তু সেই কৃষক তার ফসলে লাভজনক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রোদ, ঝড় বৃষ্টি, ব্রজ্রপাত উপেক্ষা করে কৃষকরা মাঠে যান এবং আবিষ্কার করেন নতুন নতুন জাত। কিন্তু তাদের উন্নয়ন উদ্যোগকে কখনই স্বীকার করা হয় না। কৃষকরা নিরবে, নিভৃতে ফসল উৎপাদন করে যাচ্ছেন। আবার সেই কৃষকই যখন কর্মে অক্ষম হয়ে যান তখন তাঁর পাশে দাঁড়ানোর মতো কাউকে পাওয়া যায় না।
বক্তারা জানান, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র কৃষকের এই পরিশ্রমের মূল্য না দেওয়ায় কৃষি কাজ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন কৃষক। নতুন প্রজন্মরাও কৃষিতে জড়িত হওয়া কথা কখনই চিন্তা করে না। একজন কৃষক তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়ই ব্যয় করেন সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে! অথচ তিনি নিজে একসময় হয়ে পড়েন সহায় সম্বলহীন। তাই কৃষকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য কৃষককে পেনশনের আওতায় আনতে হবে।