বন্ধুর বাঁধন একতা ছাত্র সংঘের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার
নেত্রকোনা থেকে আজহারুল করিম
ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার মাওহা গ্রামের ‘বন্ধুর বাঁধন একতা ছাত্র সংঘ’। ইতিমধ্যেই গ্রামের নিরক্ষরতা দূরীকরণ, শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ, গ্রামের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা, শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়তা দান করে সংগঠনটি সারা এলাকায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে।
এই সংগঠনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে- নিজেদের শ্রমের বিনিময়ে অর্জিত অর্থে তারা সংগঠিত করেন এমন কাজ। কখনো ধান কেটে, কখনো ধান রোপণের বিনিময়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে তারা সমাজ গঠনমূলক এমন সব কাজ সম্পন্ন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তারা সম্পন্ন করেছেন মাওহা গ্রামের জনগুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা সংস্কারের কাজ।
মাওহা বাজার থেকে নয়াপাড়া পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি মাওহা গ্রামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এবছর বর্ষায় একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তাটি। যে কারণে এই রাস্তার যাত্রীরা বাধ্য হয়ে মানুষের বাড়ির ভিতর দিয়ে চলাচল শুরু করে। যাত্রীদের এই বেহাল দশা দেখে এগিয়ে আসেন সংগঠনের কর্মীরা। উদ্যোগ নেন রাস্তা সংস্কারের। গত মৌসুমে ধান কাটার পয়সা দিয়ে রাস্তা সংস্কারের জন্য বস্তা কিনেন তারা। পরবর্তীতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংগঠনের সব কর্মী মিলে কাজে হাত লাগান। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সম্প্রতি একদিনের মধ্যেই রাস্তাটিকে চলাচলের উপযোগী করতে সমর্থ হন তারা।
রাস্তা সংস্কারের সময় উপস্থিত ছিলেন বন্ধুর বাঁধন একতা ছাত্র সংঘের সভাপতি আজহারুল করিম, সাধারণ সম্পাদক মো. উজ্জল মিয়া, সহ-সভাপতি মো. মাহবুব আলম, মো. আরিফ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক সালমান শাহ, সদস্য মো. উবায়দুর হক, মাহাবুব, রাসেল, শাহীন, বাদল, শাহ আলম এবং এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রুকু মিয়া, মিজানুর রহমান, ফজলুর রহমান, মো. কামাল হোসেন, জামাল মিয়া প্রমুখ।
বন্ধুর বাঁধন একতা ছাত্র সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. উজ্জল মিয়া। রাস্তা সংস্কার এবং তাঁর কাজের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সমাজের গঠনমূলক কাজে বন্ধুর বাঁধন একতা ছাত্র সংঘ সব সময়ই আছে এবং থাকবে।”
মো. উজ্জল মিয়ার মতো আমরাও আশা করি আগামীর বাংলাদেশ তরুণদের হবে। তরুণদের এমন ছোট ছোট পদেেক্ষপই সামনের বাংলাদেশ নির্মিত হবে।