পুুষ্টিকর সবজি বেগুন
মো. মনিরুজ্জামান ফারুক,ভাঙ্গুড়া (পাবনা)।।
বেগুন এক প্রকার সবজি। এটি বাংলাদেশের সবজির মধ্যে সবচাইতে বেশি পরিচিত। গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার এটি। রান্না, ভাজি, ভর্তা ও পোড়াসহ বিভিন্ন উপায়ে তরকারি হিসেবে বেগুন খাওয়া হয়। এ দেশে ইফতারিতে বেগুন দিয়ে তৈরি “বেগুনী” একটি জনপ্রিয় খাবার।
বাংলা উহকিপিডিয়া থেকে জানা গেছে, একটি বেগুন গাছ প্রায় ৪০ থেকে ১৫০ সেমি দীর্ঘ হয়। এর পাতাগুলো ঘন এবং প্রায় ১০ থেকে ২০ সেমি দীর্ঘ এবং ৫ থেকে ১০ সেমি প্রসস্থ হয়। বেগুনের ফুল সাদা ও গোলাপী বর্ণের হয়। এর পাঁচটি পাপড়ি থাকে। বেগুন সাধারণত দেশি ও হাইব্রিড জাতের হয়ে থাকে।
জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম বেগুনে রয়েছে, ১০০ গ্রাম বেগুনে রয়েছে ০.৮ গ্রাম খনিজ, ১.৩ গ্রাম আঁশ, ৪২ কিলোক্যালরি, ১.৮ গ্রাম আমিষ, ২.২ গ্রাম শর্করা, ২৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১, ০.০৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২, ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
বেগুন সারাবছরই চাষ করা হয়। তবে শীতকালে এর চাষাবাদ বেশি হয় এবং ফলনও ভালো পাওয়া যায়। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই বেগুনের চাষাবাদ হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে বেগুন চাষ করা হয়। বেগুন শুধু সবজি হিসেবেই নয় ।
বেগুনের রয়েছে নানা ঔষুধি গুণাগুন। জানা যায়, খালি পেটে কচি বেগুন পুড়িয়ে সামান্য গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমে। লিভারও ভালো রাখে। উচ্চমাত্রার আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় রক্তে সুগার ও গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে বেগুনপোড়া। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। বেগুনের পটাশিয়াম, ভিটামিন E ও K শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও বেগুন পিত্তনাশক, জ্বর কমায় ও রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।