পানিশুন্য বড়াল নদী!
ভাঙ্গুড়া, পাবনা থেকে মো. মনিরুজ্জামান ফারুক
চলন বিলাঞ্চলের এক সময়ের খরস্রোতা নদী ‘বড়াল’। ধীরে,ধীরে সংকুচিত হয়ে নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে! নদীর তলদেশে চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন ফসলের। এ নদীটি রাজশাহীর চারঘাট,বাঘা, নাটোরের বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে হুড়া সাগরে মিশে যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে।
জানা গেছে, এ অঞ্চলে ফসল উৎপাদন ও অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য বড়াল নদীর উৎপত্তি স্থলে একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও পরবর্তীতে আটঘড়ি, দহপাড়ায় ও পাবনার চাটমোহরে ক্রসবাঁধ নির্মাণ করা হয়। ফলে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় পদ্মার পলিযুক্ত পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বড়াল নদীতে বন্ধ থাকায় নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া নদীর দু’পারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নির্মাণ করে নদী দখল করে চলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এতে করে নদীটির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
বর্তমানে নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় চলন বিলের ৮টি উপজেলার মধ্যে নৌ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এ অঞ্চলে নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। জানা যায়, সড়কপথে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় এখানকার ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে নৌপথে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও আরিচাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য পরিবহ করে আসছিল। এখন নৌপথ বন্ধ থাকায় সড়ক পথে অধিক খরচে পণ্য পরিবহন করতে হয়। কোন উদ্যোগ না নিলে অচিরেই এ নদী দেশের মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।