ভাঙ্গুড়ায় পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে
মো. মনিরুজ্জামান ফারুক,ভাঙ্গুড়া (পাবনা) ।।
দাম ভালো পাওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সোনালী আঁশ পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এ উপজেলায় গত বছরের তুলনায় একশ’ ৪২ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭শ’ ৬৫ হেক্টর। আর আবাদ হয়েছে ৪শ’ ৯৭ হেক্টর জমিতে।
এলাকার পাটচাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক বিঘা জমিতে পাট চাষে খরচ লাগে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মণ পাট পাওয়া যায়। তাছাড়া অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাট চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় উপজেলার কৃষকেরা পাট চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। উপজেলার চরভাঙ্গুড়া গ্রামের কৃষক মাহমুদ আলম গত বছর তিনি ৬ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলেন। দাম ভালো পাওয়ায় এবছর তিনি ১৪ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। তিনি আশা করেন এবারও পাটের ভালো দাম পাবেন। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক রাজু মন্ডল গত বছরের মতো এবারও ৮ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন।
জানা যায়, এক সময় চলনবিলাঞ্চল অধ্যুষিত এ উপজেলায় প্রচুর পরিমাণে পাটের আবাদ হতো। পাট চাষীদের সুবিধার্থে এখানে পৃথিবীর বৃহত্তম পাটকল আদমজী জুট মিলের পাটক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এলাকার কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পাট ন্যায্য মূল্যে এ পাটক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করতো। এছাড়া এ অঞ্চলের উৎপাদিত পাট স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে খুলনা, নারায়গঞ্জ ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জুটমিলে বিক্রয় হতো। হঠাৎ পাটের দাম কমে গেলে পাটচাষী ও ব্যবসায়ীরা চরম লোকসানের শিকার হয়। এতে করে উপজেলার কৃষকেরা পাটের আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন।
তবে বিগত কয়েক বছর হলো পাট চাষে লাভের মুখ দেখায় এলাকার কৃষকেরা আবার পাট চাষ শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবদি মো. এনামুল হক বারসিকনিউজকে বলেন, ‘সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে বিগত বছরগুলোতে পাটের ভালো দাম পাওয়ায় এলাকার কৃষকদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে।’