সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য

সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে শাহীনুর রহমান ও শারমিন আক্তার

‘বসতবাড়ির আশেপাশে ভরে দে ভাই সবজি চাষে, করবো মোরা জৈব চাষ সুস্থ থাকবো বারোমাস’ স্লোগানের আলোকে সিংগাইর উপজেলার গোলাই গ্রামে গোলাই কালিগঙ্গা কৃষক কৃষাণী সংগঠনের আয়োজনে এবং উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহায়তায় নিরাপদ খাদ্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।

IMG20190701110434
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা ২৫ ধরনের অচাষকৃত উদ্ভিদ, ৩০ ধরনের দেশীয় শাকসবজি, ২০ ধরনের দেশীয় ফল এবং ১৫ ধরনের ওষুধি বৃক্ষ প্রদর্শন করেন। এসব পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি এক আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়। বারসিক কর্মকর্তা শাহীনুর রহমানের সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি সেলিনা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় নিরাপদ খাদ্যরে উৎস উৎপাদন, সংরক্ষণ ও গুরুত্বের বিষয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন অভিজ্ঞ প্রবীণ কৃষাীণ ভানু বেগম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কৃষাণী মনোয়ারা বেগম, সুলতানা বেগম, ফুলমালা বেগম, রুপালি বেগম প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারসিক কমকর্তা শারমীন আক্তার।

IMG20190701113130
আলোচনায় সেলিনা বেগম বলেন, ‘সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য। কিন্তু উৎপাদন থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত বেশির ভাগ খাদ্যই অনিরাপদ। আমরা যদি জৈবসার ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করি এবং অচাষকৃত উদ্ভিদগুলো সংরক্ষণ করি তাহলে আমাদের নিরাপদ খাদ্যর অভাব কিছুটা পূরণ হবে।’ ভানু বেগম বলেন, ‘আমাদের বাড়ির আশেপাশে পালানি জমিতে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ রয়েছে যাকে আমরা আপন জ্বালা উদ্ভিদ হিসেবে জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সব উদ্ভিদকে আগাছা হিসেবে মনে করি। এই সকল উদ্ভিদের রয়েছে নানা ধরনের ওষুধি গুণ। এই সব গাছ আমাদের নিরাপদ খাদ্যের উৎস। পৃথিবীতে আগাছা বলে কিছু নেই। সব উদ্ভিদেরই রয়েছে আলাদা আলাদা গুণ।’ কৃষাণি মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্যে সবার অধিকার। খাদ্য উৎপাদনকারীদের কাছে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের নিরাপদ খাদ্যা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই সকলেই উচিৎ জমিতে সার বিষ ব্যবহার ছাড়া ফসল উৎপাদন করে সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা।’

happy wheels 2

Comments