বন্যপ্রাণী ও পাখির জন্য নিরাপদ হোক আমাদের গ্রাম
রাজশাহী মো. শহিদুল ইসলাম
রাজশাহীর পবা উপজেলার বিলনেপাল পাড়া গ্রামে উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং বিলনেপাল পাড়া চাষী ক্লাব, তরুণ স্বপ্ন যাত্রা সংগঠন, নারী সংগঠনের এর যৌথ উদ্যোগে বন্যপ্রাণী ও পাখির জন্য নিরাপদ হোক আমাদের গ্রাম শীর্ষক সচেতনতা র্যালি ও পাখি সুরক্ষায় আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। আলোচনায় পাখি ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ২০১২ এর ধারা ও আইনগুলো তুলে ধরা হয়। উক্ত আলোচনায় বন্যপ্রাণী ও পাখি সুরক্ষায় আইন বিষয়ে তুলে ধরেন বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিলনেপাল পাড়া চাষী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, নারী সংগঠনের সুলতানা খাতুন, বারসিক’র সহযোগী গবেষক অমৃত কুমার সরকার। আলোচনা শেষে গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ গ্রামটিতে বন্যপ্রাণী ও পাখির নিরাপদ বিচরণের জন্যে নিরাপদ আবাসস্থল ঘোষণা করেন। একই সাথে তারা গ্রামে আর পাখি শিকারীতে ঢুকতে দিবেন না, পাখি শিকার করতে দিবেন না। নিজেরাও পাখি শিকার করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।
আলোচনায় বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যপ্রাণী এবং পাখি সুরক্ষায় আইন থাকলেও অনেকে তা জানেনা বা জানলেও অনেকে মানেনা। শীতের এই মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে অতিথি পাখি আসে, শিকারীরা সেগুলো শিকার করে। আবার আমাদের দেশীয় পাখি দিনে দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী ও পাখির নিরাপদ খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে দিনে দিনে বন্যপ্রাণী ও পাখি কমে যাচ্ছে। বড় বড় গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে, জমিতে রাসায়নিক ও কীটনাশক ও ফলজ গাছ ও জলাধার, পুকুরে কারেন্ট জালের নেট ব্যবহারের ফলে পাখি মরে যাচ্ছে এবং প্রজননে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘বন্যপ্রাণী ও পাখি সুরক্ষায় দেশে আইন আছে, বন্যপ্রাণী ও পাখি শিকার, আটক, হত্যা ও ক্রয় বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী, পাখি শিকার, হত্যা, আটক ও ক্রয় বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছর করাদন্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং বন্যপ্রাণী আটক, হত্যা, শিকার ও ক্রয় বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছর করাদন্ড এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানা।’
বন্যপ্রাণী ও পাখি আমাদের পরিবেশ এবং স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। তাই বন্যপ্রাণী ও পাখি সুরক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আলোচনা শেষে পাখি সুরক্ষায় আইন ও সচেতনতামূলক তথ্য বোর্ডে ঠাঙ্গানো হয়।