ঢাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ
ঢাকা থেকে ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল
ঢাকা শহরে নি¤œ আয়ের বস্তিবাসী ও ভাসমান মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। এই মানুষদের জীবন বরাবরই নানাবিধ সংকটের মধ্যে আবর্তিত হয়। তাদের খাদ্য সংকট, আবাসন সংকট, চিকিৎসা সংকট, নিরাপত্তা সংকট তো রয়েছেই। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা এই নি¤œ আয়ের মানুষদের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। বস্তিবাসীদের অধিকাংশ মানুষই কাজ হারিয়েছে। জমিয়ে রাখা সামান্য অর্থ, সম্পদ তারা ইতোমধ্যে ব্যয় করে ফেলেছে। বস্তিবাসীদের প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষ ইতোমধ্যে ঋণে জর্জরিত। বারসিক’র উদ্যোগে করোনাকালে এই মানুষদের নিয়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই কর্মসূচীর একটি বড় বিষয়ই ছিলো বস্তিবাসীদেরকে স্বাস্থ্যসমতভাবে কাজে ফিরিয়ে নেয়া হোক আর তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2020/11/125535964_2034227256713883_3196522928192694959_n-767x1024.jpg)
সম্প্রতি বারসিকের উদ্যোগ মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় বস্তিবাসীদের মধ্যে বারসিকের উদ্যোগে মাস্ক বিতরণ করা হয়। বস্তিবাসীদের সচেতনতা তৈরির বিভিন্ন কর্মসূচি বারসিক’র পক্ষ থেকে করোনার একদম শুরু থেকেই চালিয়ে আসছে। আমরা দেখছি শীতের আগমনেই আবারও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলেছে আর বিগত কয়েক দিনে মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পেয়েছি। তাই বারসিক চাঁদ উদ্যানের প্রায় ৭০০ পরিবারের মাঝে ১৪০০ কাপড়ের তৈরি মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। গত ১৬-১৭ নভেম্বর চাঁদ উদ্যানের পাইওনিয়র হাউজিং এর বস্তিবাসীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
বস্তিবাসী নেত্রী ঝুমুর বলেন, ‘বস্তিবাসীরা সচেতন না। তারা অধিকাংশ সময়ই মাস্ক পড়ে না। বারসিক’র এই মাস্ক তাদেরকে সচেতন করবে।’ তিনি সকলকে মাস্ক পড়ে ঘর থেকে বের হবার অনুরোধ করেন।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2020/11/125408837_657119165170047_6919832533839298326_n-1024x498.jpg)
এসময় ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল বলেন, ‘বস্তিবাসীদের সচেতন থাকতে হবে আর সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকার সামনে অনেক কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে আর তাই সকলকে সচেতন হয়ে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার বিকল্প নেই। করোনা থেকে রক্ষা পেতে সকলেই একসাথে কাজ করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন বারসিকের সহযোগী সমন্বয়ক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা সুদিপ্তা কর্মকার, ইয়ুথ ভলান্টিয়ার রিয়াস, বৃষ্টি, বস্তিবাসী নেত্রী ঝুমুর বেগম, আসমানী বেগম প্রমূখ। উল্লেখ্য এই মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে।