অচাষকৃত শাক সংরক্ষণে তরুণীর উদ্যোগ

রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন

আমাদের বাড়ির আশপাশে ফাঁকা জায়গায় প্রাকৃতিকভাবে যে সকল শাকসবজি জন্মে তাকে অচাষকৃত শাকসবজি বলে থাকি। যে সকল শাকসবজি আমাদের আশেপাশে সচরাচার পাওয়া যায় সেগুলো হল-সানছি, গিমা, শুনশুনি, বথুয়া, নোনতা, গাইখুড়া, কলমি শাক, কচু শাক, কালকাশিন্দা প্রভৃতি।

প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো এসব উদ্ভিদে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ রয়েছে। এসকল খাদ্য খাবার ফলে আমাদের গ্রাম অঞ্চলের মানুষের পুষ্টির চাহিদা অনেকটা পূরণ হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু উদ্ভিদ আমাদের মধ্যে থেকে বিলুপ্ত হয়েছে। আবার কিছু উদ্ভিদ বিলুপ্তপ্রায় যেমন কালকাসিন্দা আমাদের আশেপাশে খুব একটা দেখা যায়না।

এসব বিলুপ্ত প্রায় অচাষকৃত শাকসবজি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে তেতুলিয়া ডাংগা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সংগঠনের তরুণী সিমা খাতুন। সে তার মায়ের কাছ থেকে এ শাকের গুনাগুণ সম্পর্কে জানতে পারে। এ শাক খেলে গায়ের ব্যাথা, কামড়, আমাশয়ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়। তাই সে শাক ও বীজ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। তার এ উদ্যোগ অন্যান্য কিশোরীর মধ্যেও ছড়িয়ে পড়বে বলে সে মনে করে। সিমা আক্তার বলে, ‘এসব শাকসবজি খেলে আমাদের শরীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় সেটা জানার পর থেকে আমি আমার মতো করে এগুলো সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমার পরিবারও আমাকে উৎসাহিত করে সবসময়।

happy wheels 2

Comments