সম্মিলিত উদ্যোগে রাস্তাটি মেরামত করলেন তাঁরা
ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
গাংডুবীর রাস্তা দিয়ে ঠাটাংগা, গাংডুবী, কেল্লাই, দিয়াইল, দোলাকান্দা, বেচপাড়া,পাড়াগ্রামের লোকজন প্রতিদিন প্রায় ৫শ’ থেকে-৬শ’ লোক যাতায়াত করেন। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে গাংডুবীর ৫ কিলোমিটার মাটির রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মানুষের এ দূর্ভোগ দেখে এগিয়ে আসে গাংডুবী গ্রামের হরেন্দ্র কুমার মন্ডলসহ আরো অনেকে। গতকাল দুই ট্রাক ভাংগা ইট এনে যেসব জায়গায় বেশি কাদা রয়েছে সেখানে সেই ইটভাঙ্গা ফেলে দিয়ে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী তোলা হয় হরেন্দ্র কুমারের উদ্যোগে। এই কাজ তাকে সহায়তা করেন লূৎফর রহমান, সুবোধ সরকার, প্রফুল্ল মন্ডল, অসীম মিয়া, মজলিস মিয়া, পবিত্র শীল, সুভাষ শীল, মজনু মিয়া, চুন্নু মিয়া, জাহিদ মিয়া, কার্তিক রাজবংশী, দুলাল সাহাসহ স্থানীয় জনগণ।
হরেন্দ্র কুমার মন্ডল কেল্লাই বাজারে কাচা মরিচের আরতের ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী। কৃষকদের মরিচ আরতে বিক্রি করতে ও জনগণের চলাচলের জন্য তার এমন উদ্যোগে এলাকার অনেকের উপকার হয়েছে। তবে এই রাস্তাটির স্থায়ী সংস্কারের দাবি জানান এলাকার মানুষ।তাদের মতে, জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে।
উল্লেখ্য, ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের ক্ষিরাই নদীর তীরে গাংডুবী গ্রামের ৫ কিলোমিটার মাটির রাস্তায় প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বর্ষা এলে কাদায় লোকজনের চলাচল ব্যাহত হয়। বর্ষা আসলে এ এলাকার মানুষের জীবনে নেমে আসে দূর্ভোগ। রাস্তা ভালো না থাকার কারণে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তোলা, হাট বাজারে বিক্রি করতে সমস্যা হয়, ভালো দাম পাওয়া থেকে কৃষকরা বঞ্চিত হন। এলাকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি রাস্তাটি পাকা করার। স্থানীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে রাস্তাটি পাকা করা হবে কিন্তু কখন হবে তা জানানো হয় না।