বন্যার্তদের পাশে রাজশাহীর তরুণরা
রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম
“মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য-” এই কথাটি প্রমাণ করলো রাজশাহীর তারুণ্য। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকতে রাজশাহীর তরুণরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। চলমান সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে তাঁরা নিজেরা কখনো সাইক্লিং করে, গান গেয়ে, স্ট্যানশো করে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। সেগুলো তাঁরা সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং কুড়িগ্রামের বন্যার্ত মানুষের জন্য গিফট কেনার জন্য পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একটি নদী মাতৃক দেশ। এদেশে অতীতে নদী হাওড় এবং জলাধারগুলো পানি ধারণ করতে পারতো বেশি, এবং একই সাথে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হলে খুব সহজেই বৃষ্টি বা উজানের পানি নীচে বা সাগরে নেমে যেতে পারতো। কিন্তু নদীগুলোর নাব্যতা হারিয়ে যাবার কারণে, খাল বিলগুলো ভরাট হবার কারণে একটু বৃষ্টি হলেই জলবাবদ্ধতাসহ বন্যার প্রকোপ দেখা দেয়। মৌসুমি আবহাওয়ার কারণে বেশি বৃষ্টিপাত হলেই সেই পানি নামার আর সুযোগ থাকেনা। সৃষ্টি হয় বন্যার। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর সমস্যা তৈরী হয়। এমনিতেই বাংলাদেশ দুর্যোগপূর্ণ একটি অঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তনে আঞ্চলিক অভিঘাত এবং উন্নয়নে মানুষের ভুল পদক্ষেপের কারণে দুর্যোগ সৃষ্টি হয়। এমন দুর্যোগে যদি সংগঠিত উপায়ে সাড়া না দেয়া হয়, তাহলে দুর্যোগে আরো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকে।
দেশে দিনে দিনে দুর্যোগ যেমন বাড়ছে তেমনি দুর্যোগে মানুষের সাড়া দেবার অবস্থা এবং দুর্যোগ থেকে বাঁচার শক্তি সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্যোগে মানুষ এক হয়ে একে আরেকজনের উপকারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। দেশের যেকোন প্রান্তে দুর্যোগ মানুষ এখন এগিয়ে আসে মানুষের পাশে।
তেমনি এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো রাজশাহীর তরুণ সমাজ। রাজশাহীর তরুণ সংগঠন জিরো পয়েন্ট সিক্স জি আর জেড এর পরিচালনায় এবং বিভিন্ন সংগঠনের অংশগ্রহণে বন্যার্তদের সহায়তায় ক্যাম্পেইন আয়োজন করেন। এই আয়োজনে ছিলো, স্ট্যানশো করে। অর্থ সংগ্রহ করা, সাইক্লিং করে, পদ্মা নদীর পাশে লালন শাহ মুক্ত মঞ্চে গান গেয়ে তাঁরা অর্থ সংগ্রহ করে।
অন্যদিকে রাজশাহীর হেল্প পিপল তরুণ সংগঠনটির একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সরাসরি সিলেট বন্যার্তদের পাশে থেকে নানাভাবে সহায়তা করছেন। রেডি ফুড থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী তারা বন্যার্তদের মধ্যে সহায়তা করছেন।