সাম্প্রতিক পোস্ট

বন্যার্তদের পাশে নেত্রকোনার যুবরা

নেত্রকোনা থেকে মো: অহিদুর রহমান
যুবরা সকল দুর্যোগে, সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়ায় হাতে হাত মিলে। ছুটে যায় বিপদে তাদের পাশে। সাহায্যের হাত বাড়ায়। এই সংকটে নেত্রকোনার বালুয়াকান্দার রক্তের বন্ধন যুব সংগঠন, আশুজিয়ার হৃদয়ে কেন্দুয়া, ফচিকার অগ্রযাত্রা কিশোরী সংগঠন, পাড়াদুর্গাপুরের প্রকৃতি ও জীবন যুব সংগঠন, মানবিক মানুষ বৃক্ষপ্রেমিক আ: হামিদ কবিরাজের টিম, সিএনপি নেত্রকোনা শাখার সদস্যরা মানবিকতার ডাক দিয়ে জরুরি খাবার ঔষধ,নিত্য ব্যবহার্য উপকরণ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

রক্তের বন্ধন যুব সংগঠন, উদয় যুব সংগঠনে উদোগে বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের বামনগাঁও, নগাঁও গ্রামে শুকনো খাবার বিতরণ, খালিয়াজুড়ি উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার বিতরণ ও পূর্বধলা উপজেলার ধলামুলগাঁও ইউনিয়নে বানভাসি মানুষদেরকে উদ্ধারকরে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা, কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়নে বানভাসি মানুষদেরকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন বন্যা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে নিয়ে আসা ও তাদের মধ্যে রেডক্রিসেন্টের বরাদ্দ করা শুকনো খাবার বিরতণ করে।

নেত্রকোনার হাওর, পাহাড়, সমতলের মানুষ প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট দুর্যোগের কারণে আজ দিশেহারা। পানি আর ঢেউয়ের মাঝে গ্রামগুলো আর চেনা যায়না। খালিয়াজুরি, মোহনগঞ্জ, বারহাট্টা, আটপাড়া, কেন্দুয়া, নেত্রকোনা সদর, পূর্বধলা, দূর্গাপুর গ্রাম কি শহর কি পৌরসভা আজ পানিবদ্ধ। ঘটছে মানুষ ও প্রাণিরমৃত্যু ঘটনা।মানুষ নিজে তার প্রাণসম্পদ, খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিচ্ছে। নেত্রকোনায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার চাষকৃত চাষ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

হৃদয়ে কেন্দুয়া যুব সংগঠন তাদের নিজস্ব উদোগে আশুজিয়া ইউনিয়নের চেয়্যারমান সহায়তায় ২ গোপালপুর, সরপাড়া গ্রামে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে। তাছাড়া দক্ষিণ বিশিউড়া আলোর পথে সাধারণ পাঠাগার বানভাসি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে। নেত্রকোনা সিপিএন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা বন্যার্তদের জন্য দোকান ,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিত্তশালি মানুষের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ ৫৭ হাজার টাকা সংগ্রহ করে সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

মদন দক্ষিণ পাড়া, উচিতপুর ও কুলিয়াটি যুব সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার পর সদস্যরা উচিতপুর ও গোবিন্দশ্রী গ্রামের বন্যার্তদের ৫০টি পরিবারের কাছে ১২টি করে মোমবাতি, ১০টি কয়েল, ০৫টি খাবার স্যালাইন, একটি গ্যাস ম্যাচ, ১০টি প্যারাসিটামল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেছেন। সদস্যরা বলেন, আমরা ছাত্র পড়াশুনা করি, আমাদের কাছে তো সহযোগিতা করার মতো সামর্থ্য নেই তবু নিজেরা টাকা তুলে যতটুকু সম্ভব দূর্গতদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি এবং আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

সংগঠনের কয়েকজন সদস্য স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বন্যার্তদের পাশে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করলে মদন উপজেলা ইউএনওর সাথে যোগাযোগ করা হয়। তিনি স্বাগত জানিয়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে যুক্ত করে দেন। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান গবাদি পশুর রোগবালাই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করে প্রয়োজনীয় টিকা প্রদানের কথা জানিয়েছেন। তিনি বারসিক’র সহযোগিতা কামনা করেছেন। যুবরা দেশের সকল ক্লান্তিকালে মানুষের পাশে দেশের পাশে দাড়িয়েছে। এবারের বন্যাতেও যুবদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাদের হাত ধরেই আগামীর বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

happy wheels 2

Comments