বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে নেত্রকোনায় প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষাসহ যুবদের ৫০ প্রত্যাশা
নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান
বিজয়ের চেতনায় উদ্ভাসিত হউক যুবদের চেতনা এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, নেত্রকোনা সম্মিলিত যুবসমাজ, সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে এবং বারসিক’র সহযোগিতায় বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে নেত্রকোনার প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ-জল-জলাভ‚মি-প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষায় সমাবেশ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে আজ।
সমাবেশে শিক্ষা, সংস্কৃতি পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি প্রকৃতি বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি তানভীর জাহান চৌধুরী, সমকাল সুহৃদের সাধারণ সম্পাদক সুস্থির সরকার, উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, শিক্ষা, সংস্কৃতি পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক নাজমুল কবীর সরকার, নেত্রকোনা সম্মিলিত যুব সমাজের সভাপতি পার্থ প্রতীম সরকার, বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো: অহিদুর রহমান, সমকালের সাংবাদিক খলিলুর রহমান শেখ ইকবাল প্রমুখ। সমাবেশে আরও অংশগ্রহণ করেন নেত্রকোনা সম্মিলিত যুব সমাজ,অগ্রযাত্রা কিশোরী সংগঠন, অক্সিজেন যুব সংগঠন, কুসুমকলি কিশোরী সংগঠন, রক্তের বন্ধন যুব সংগঠন, হিমু পাঠক আড্ডার, মহুয়া বøাড সোসাইটির, স্বপ্নসারথীর সদস্য ও সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের সদস্যরা।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি, নেত্রকোনা সম্মিলিত যুবসমাজ, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এর পক্ষ থেকে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কাছে ৫০টি প্রত্যাশা সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তীতে নেত্রকোনার যুবরা আমাদের নেত্রকোনাকে স্বপ্নের জেলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পরিবেশ-যোগাযোগ-সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ও ন্যায্য সমাজ গড়ে তুলতে নেত্রকোনাবাসী ও প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত প্রত্যাশাগুলোর মধ্যে রয়েছে: সকল প্রাণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা, নেত্রকোনায় সংস্কৃতি চর্চা বিকাশে মানসম্মত ছোট বড় অডিটরিয়াম নির্মাণ, মগড়া নদীর পানি ও দূষণমুক্ত রাখা, জলাভ‚মি সুরক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত জেলা, প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা, জলবায়ু ন্যায্যতা, বহুত্ববাদী সমাজ, বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতি বৈচিত্র্য রক্ষা, আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার উদ্যোগ, সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, সকল পেশার জন্য মানবিক নগর, রাসায়নিকের ব্যবহার কমানো, সাইডুলি নদী ও ডুপিকালি নদীসহ জেলার ৫৮ নদী খনন করার উদ্যোগ গ্রহণ, মানসম্মত শিক্ষা, নারীর জন্য নিরাপদ ও মানবিক সমাজ, কলমাকান্দা-দুর্গাপুর এলাকার বিলুপ্ত প্রাণিসম্পদ সুরক্ষা, মগড়ার দুই তীর দখলমুক্ত করে সৌন্দর্য্য বর্ধন করা, পাহাড়ি বালির আগ্রাসন থেকে জেলার সীমান্ত এলাকার ভরাট হয়ে যাওয়া ভূমি রক্ষার উদ্যোগ, শিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ, কৃষি জমি সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন, নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা, মিঠা পানির মাছ সংরক্ষণ, মগড়া নদীতে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলা, হাওরে পানি সহনশীল উদ্ভিদ (হিজল, করচ গাছ) রক্ষা প্রভৃতি।