“বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২০” পদকে ভূষিত হলেন শামসুদ্দিন মন্ডল এবং জাহাঙ্গীর আলম শাহ
:: বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে শহিদুল ইসলাম::
নতুন স্বাধীন দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নামে জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রচলন করেন। এরই ধারবাহিকতায় এ বছর মোট ২৮ জন ব্যক্তি এবং ৪টি সংস্থাকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২০ দেওয়া হয়েছে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ জানুয়ারি ২০১৬ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কৃষি খাতের সর্বোচ্চ এই পুরস্কার প্রদান করেন। কৃষিখাতে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২৮ জন ব্যক্তির মধ্যে বরেন্দ্র অঞ্চলের শামসুদ্দীন মন্ডল এবং জাহাঙ্গীর আলম শাহও এ পুরস্কার লাভ করেছেন। কৃষি, পরিবেশ এবং তথ্য বিষয়ে নিজ উদ্যোগে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তাদেরকে রৌপ্যপদকে ভূষিত করা হয়।
দুজনই নওগাঁ জেলার কৃতি সন্তান। শামসুদ্দিন মন্ডলের বাড়ি মহাদেবপুর উপজেলার দাউল গ্রামে। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি মান্দা উপজেলার কালিগ্রামে। এলাকায় তিনি পরিচিত গেছো মামা নামে। কাজের এবং স্বীকৃতির কারণেই এই নামটি দিয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু তার আসল নাম মোঃ শামসুদ্দীন মন্ডল। গেছো মামা কোন ফাঁকা বা পরিত্যক্ত জায়গা দেখলেই সেখানে বৃক্ষরোপণ করেন, মানুষকে বিনামূল্যে গাছ দেন এবং নিজ উপজেলা ও জেলাসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের নানা প্রান্তে নানা জাতের দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করেন এবং বৃক্ষরোপণের পরামর্শ ও সহায়তা করেন।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীর আলম শাহ এলাকায় কৃষি গবেষক হিসেবে বেশি পরিচিত। দীর্ঘ দিনের শ্রম আর সাধনায় তিনি নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন সমৃদ্ধশালী একটি কৃষি যাদুঘর এবং কৃষি পাঠাগার। যার নাম শাহ কৃষি তথ্য যাদুঘর। এই যাদুঘরে নিকট অতীতসহ বর্তমান সময়ের কৃষির নানা উপকরণ থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন। একই সাথে তার বসবাসের বাড়িটিতে কৃষিসহ নানা বিষয়ের উপর জ্ঞান আহরণের জন্যে লাইব্রেরী স্থাপন করেছেন।
“বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২০” পাওয়ার পর শামসুদ্দীন মন্ডল বারসিক নিউজ.কম এর কাছে অভিমত প্রকাশ করে বলেন ‘আমার এই পুরস্কার নবীনদের আকৃষ্ট করবে। আমি আরো এ বিষয়ে কাজ করতে চাই। আমার কাজের উদ্দীপনা আমি যুবকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি দেশ স্বাধীন করেছি, কিন্তু দেশের পরিবেশ ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আমরা করতে পারিনি, আমি পরিবেশ স্বাধীনতায় কাজ করতে চাই। তরুণদের আরো বেশি জাগাতে চাই’।