সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে টুকরো হাসি
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
করোনা সব কিছুর ওপর প্রভাব ফেলেছে বাদ পড়েনি ছোট সোনামনি শিশুরাও। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো স্কুল, বন্ধ ছিলো পড়াশোনা। এখনও স্কুল খুললেও দীর্ঘদিনের বন্ধের প্রভাব হিসেবে অনেকে শিশুই পড়াশোনার মাঝে কোনো আনন্দ খুঁজে পায় না! যার ফলে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। এটা বেশি দেখা যাচ্ছে বস্তির শিশুদের বেলায়।
বস্তির শিশুদের মধ্যে কাজের একটা তাড়না থাকে। যার ফলে পড়াশোনায় আনন্দ না পেলে তা ছেড়ে দেয়। আর এসব সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পরিবারের সামর্থ্য নেই বাড়তি কোনো কিছু শিখানো। এসব সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বারসিক ও টুকরো হাসি সংগঠন আয়োজন করেছে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ছড়া প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শিশুরা অনেকদিন পর ছড়া আবৃত্তি করার সুযোগ পায়।
গত ২১ নভেম্বর রাজশাহীর নামোভদ্রা বস্তিতে শিশুদের নিয়ে এই আনন্দঘন ছড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রায় ৭০ জন শিশু ও তাদের অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে টুকরো হাসির সভাপতি সাজিয়া সুলতানা মিম সবার উদ্দেশ্য পড়াশোনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য পুরষ্কার দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী কাকলী বলেন, ‘পুরস্কার পেয়ে অনেক আনন্দ লাগছে। আমার ছড়া আবৃত্তির শখ অরো বেড়ে গেলো।’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিউটি বলে, ‘অংশগ্রহণ করে খুব ভালো লাগছে। এবার র্পুষ্কার পাইনি। তবে খুব ইচ্ছা এরপর পাবো।’
উল্লেখ্য, এক টুকরো হাসি সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা। করোনাকালেও টুকরো হাসি নানাভাবে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছ্ ে। কখনো শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দিয়ে, কখনো রক্ত ব্যবস্থা করে, কখনোবা অসহায় রোগীকে ওষুধ কিনে দিয়ে আবার কখনও খাবার দিয়ে সহযোগিতা করে আসছে।