নারীর ইচ্ছা ও পছন্দের মর্যাদা দিন
মানিকগঞ্জ থেকে রাশেদা আক্তার
‘নারীর ইচ্ছা ও পছন্দের মর্যাদা দিন, নারী নির্যাতনকে না বলুন’- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সম্প্রতি বারসিক কার্যালয় মানিকগঞ্জে মানিকগঞ্জ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা শাখার অংশগ্রহণে জেলা পর্যায়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন মানিকগঞ্জের জেলা নারী উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শামীমা চায়না। সভায় বারসিক কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, জাতীয় মহিলা সংস্থা, জেলা নারী উন্নয়ন কমিটির প্রতিনিধিবৃন্দ ও বিভিন্ন নারী উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় মানিকগঞ্জের জেলা নারী উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শামীমা চায়না বলেন, ‘নারীর কাজের কোন বিকল্প নেই। নারীকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সংসারের কাজ করেও নারীরা চাইলেই কিছু করতে পারে। সে জন্য ইচ্ছা থাকতে হবে। এই ধরণের আয়োজনের জন্য বারসিক কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বারসিক’র কাজের সাথে সব সময় আছি এবং থাকবো।’
মানিকগঞ্জের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘আমরা বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন নিয়ে কাজ করি। বারসিকও করে। তবে আমার মনে হয় বারসিক আরও একধাপ এগিয়ে আছে। কারণ বারসিক নারীর ইচ্ছা ও পছন্দের কথা নিয়ে আসছে। একজন নারী তখনই তার ইচ্ছা ও পছন্দের মূল্যায়ন পাবে যখন সে নিজে স্বাবলম্বী হবে। নারীকে অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা ঘরের বাইরে কাজ কম করে বলেই তারা বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়। আজকাল হরহামেশাই বাল্য বিবহা হচ্ছে। আমাদের অভিভাবকদের বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে জানাতে হবে। তাদের সচেতন করতে হবে। বাল্য বিবাহ কম হলে নারী নির্যাতনও কমে যাবে। নারীদের দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এই জন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করতে পারি। আমার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আমি সব সময় বারসিক’র কাজে সহযোগিতা করবো।’
মানিকগঞ্জের জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শ্রীমতি লক্ষ্মী চ্যাটার্জী বলেন, ‘আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করছি ঠিকই কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের উদ্দেশ্য একই। মেয়েরা কিছু একটা করুক এটা আমরা সবাই চাই। আমরা এই ধরণের ইস্যুতে অনেক সময়ই যৌথভাবে কাজ করে থাকি। বারসিক বাল্য বিবাহ নিয়ে কাজ করছে। আমরা পরবর্তীতে জেলা পর্যায় বাল্য বিবাহ রোধ বিষয়ে যৌথভাবে সম্মেলন করতে পারি। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অতিথি করা যেতে পারে।’
নারীকে নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে দেখার মানসিকতাই পারে সকল প্রকার নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা ও নারীর প্রতি বৈষম্য বন্ধ করতে।