‘এদেরকে ছেড়ে কোথাও গিয়ে থাকতে পারিনা’

‘এদেরকে ছেড়ে কোথাও গিয়ে থাকতে পারিনা’

রাজশাহী থেকে রিনা টুডু

তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরসভার থানতলা গ্রামের মাইনো হেমব্রোম। বয়স ৫২ বছর। তাঁর দুই ছেলে। এক ছেলে শ্বশুর বাড়িতে থাকে। বড় ছেলের তিন সন্তান এবং স্বামী নিয়ে পরিবারে সদস্য তাঁর পরিবারের মোট ৭ জন।

মাইনো হেমব্রোম ও তার স্বামী তারা খুব কষ্ট করে সংসার চালান। বর্তমানে তাঁরা একবিঘা জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। এভাবে পরিবারের সবজির চাহিদা পূরণ করছেন। তাদের সবজি বাগানে বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, পটল, লালশাক, সবুজ শাক রয়েছে। তারা মৌসুমভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন এবং নিজেরাই বীজ সংরক্ষণ করেন।

২০২২ সালে বারসিক’র সহযোগিতায় উপজেলায় থানতলা, মাহালী পাড়া, মিশনপাড়াসহ মাইনো হেমব্রোমসহ গ্রামের কয়েকজনকে দুটো করে ভেড়া ও ভেড়ি সহায়তা দেওয়া হয়। মাইনো হেমব্রোম ওই ভেড়াগুলো ভালোমত পালন করে আসছেন এবং নিজেও আরও কয়েকটি ভেড়া ক্রয় করেন। বর্তমানে ভেড়াও ছাড়াও তিনি তিন জাতের কবুতর পালন করেন।

তিনি ভেড়াগুলোকে খড় খাওয়ান। খড়গুলো তিনি ছোট ছোট করে কেটে ভুট্টার ভুসি, খোল, সানি করে খাওয়ান। মাইনো হেমব্রোম বাজার থেকে কড় ক্রয় করেন না। বাড়িতে দেশি জাতের সরিষা ও ধান চাষ করেন এবং তেল ভেঙে যে খোল পান সেটিকে খড় এর সাথে সানি করে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করেন।

মাইনো হেমব্রোম সারাদিন এসব প্রাণীসম্পদ পরিচর্যা করেন। অনেকসময় নাওয়া ও খাওয়া রেখে সারাদিন এদের পিছনে পড়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘এরাই আমার সম্বল ও সম্পদ। এদেরকে লালন পালন করে আমি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল। তাই এসব প্রাণীসম্পদকে ছেড়ে আমি কোথাও গিয়ে থাকতে পারি না।’

happy wheels 2

Comments