বাল্য বিয়ে মেয়েদের স্বাস্থ্য ক্ষতি করে
সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে শাহীনুর রহমান
গতকাল ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বাল্য ‘বিবাহকে না বলি, নৈতিকতায় জীবন গড়ি,’ ‘মাদককে না বলি’, ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক চর্চা করি’ স্লোগানের আলোকে বাল্য বিবাহ ,মাদক ও সততার চর্চা বিষয়ে কালিয়াকৈর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে এক বক্তৃতামালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র সহায়তায় কালিয়াকৈর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা কতৃপক্ষ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার নবম ও দশম শ্রেণীর ১২০জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মাদ্রাসার সুপারিনটেডেন্ট মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বাল্য বিবাহ, মাদক ও সতাতার চর্চা বিষয়ে দশম শ্রেণীর শিক্ষাথী মোঃ রিয়াজুল ইসলামের ধারনা পত্র উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
মূল আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বারসিক প্রোগাম অফিসার শিমুল কুমার বিশ্বাস, বিশেষ আলোচক ছিলেন সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল হালিম, সহকারি শিক্ষিকা লায়লা আক্তার , দশম শ্রেণীর শিক্ষর্থী জহিরুল ইসলাম, মো. আমির হামজা, গোলাম রাব্বি, মেহুরেন্নেছা, ফাহমিদা আক্তার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শিমূল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও সততা আদর্শ চরিত্র গঠন সামাজিক পরিবর্তন আনতে পারে। তাই নারী পুরুষ উভয়কেই স্ব শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজকে আলোকিত করতে হবে।’ মাদ্রাসার সুপারিনটেডেন্ট মোঃ আবুল হোসেন বলেন, ‘দারিদ্রতা যৌতুক সামাজিক প্রথা বাল্য বিবাহ সমর্থনকারী আইন, ধর্মীয় ও চাপ, অঞ্চলভিত্তিক রীতি, অবিবাহিত থাকার শংকা, নিরক্ষরতা মেয়েদের উপার্জনে অক্ষম ভাবা ইত্যাদি কারণে বাল্য বিবাহ হয়ে থাকে। বাল্য বিবাহ রোধ করতে হলে পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি নোটারি পদ্ধতি বাতিল করতে হবে।’
শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সাধারণত মাদকের সাথে জড়িত নয় তবে যারা মাদক সেবন করে তাদেরকে মাদকের ক্ষতিকারকগুলো বোঝানোর দায়িত্ব আমাদের রয়েছে।’ শিক্ষার্থী ফাহমিদা বলেন, ‘বাল্য বিবাহ শুধু মায়ের স্বাস্থ্যই নষ্ট করেনা শিশুর স্বাস্থ্যও নষ্ট করে। বাল্য বিবাহরে কারণে মেয়েরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ সহকারি শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, ‘বাল্য বিবাহরে কারণে নারীরা নানা ধরনের অপুষ্টিতে ভোগে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। অকাল গর্ভপাতের কারণে মাতৃমৃত্যের হার বৃদ্ধি পায়। আমাদের প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।’