শিশুদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী পালন
ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের শোলকুড়া গ্রামের মো. আলিফ ৫ম শ্রেণীর ছাত্র। তাঁর পিতা হচ্ছেন গবেষক কৃষক মো. মাসুদ বিশ্বাস। তিনি বিএ পাস করেও কৃষি কাজ করেন এবং নিজেকে কৃষক বলে পরিচয় দেন। আলিফ স্কুলে ও বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনেছে, গল্প শুনে তাকে দেখার খুব ইচ্ছা করে তার। বঙ্গবন্ধুর মতো হতে চায়! ছোটবেলার গল্প শোনে নিজের সহপাঠিদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করার জন্য তিনি মাটি দিয়ে বিভিন্ন ফল তৈরি করে, ফুল তৈরি করে এগুলো বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের উপহার হিসেবে রাখে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকীর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিশু আলিফ এর মতো আরও অনেক শিশু এসেছে বঙ্গবন্ধুকে সন্মান করতে!
মো. মাসুদ বিশ^াস শিশুদের সাথে গল্প বলে সময় কাটান। তিনি শিশুদের জানান, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ (৩রা চৈত্র ১৩২৭ বঙ্গাব্দ) গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। জাতির পিতা জন্মদিন পালন করতেন না। তার জন্মদিনটিকে তিনি শিশুদের সাথে কাটাতে পচ্ছন্দ করতেন। শিশুরা দল বেঁধে বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জনাতে আসতো। ১৯৯৭ সাল থেকে বঙ্গঁবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস বাংলাদেশে পালিত হয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে বারসিক’র কর্মী সুবীর কুমার সরকার শিশু দিবসের প্রতিবেদন পাঠ করেন। তিনি শিশুদের জানান, আমাদের সামনে একটাই নিশানা ছিল। আর সেটা হলো: ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে লাখো বাঙালি সেদিন হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল শুত্রুর মোকাবিলা করতে। তাদের মহান অত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ।