নওগাঁর পত্লীতলাকে বন্যপ্রাণী ও পাখির নিরাপদ এলাকা ঘোষণা
রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম
পত্লীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্প্রতি পত্লীতলা উপজেলাকে পাখি ও বন্যপ্রাণীর নিরাপদ এলাকা হিসেবে গণবিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করেন। পাখিসহ বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ রক্ষায় যেকোন ধরনের ভুল কার্যক্রম এবং পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্থানীয় তরুণদের গড়ে ওঠা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটিকে দায়িত্ব দেন তিনি। সম্প্রতি বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বারসিক কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে উক্ত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এই ঘোষণা দেন। তাঁর এই ঘোষণা স্বাগত জানান পত্লীতলা পৌরসভার মেয়র মো. রেজাউল কবির।
এই উপজেলায় স্থানীয় তরুণরা দীর্ঘদিন থেকে পশু ও পাখি রক্ষা করা এবং পাখিদের জন্য অভয়াশ্রম তৈরির জন্য পাখি শিকার নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে তারা ইতিমধ্যে গ্রামগুলোতে পাখি শিকার বন্ধ করার ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করে। এমনকি যারা পাখি শিকার করে তাদেরকে সচেতন করে তুলতে তারা নানা উদ্যোগ নিয়েছে। পাখিসহ অন্যান্য বন্য প্রাণী শিকারিরা বাধা নিষেধ অমান্য করলে তাদেরকে পুলিশের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নেবে বলে ঘোষণা করেছে। তাদের এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার জন্য উক্ত উপজেলায় ৭টি গ্রামকে তারা পাখি কলোনী ঘোষণা করেছে। যাতে করে সেখানে পাখিরা নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তুলতে পারে। এভাবে তরুণরা পাখির প্রজনন মৌসুমে বিশেষভাবে তদারক করে যাতে প্রজনন মৌসুমে পাখির কোন ক্ষতি না হয়। এছাড়া এলাকার বড় বড় বৃক্ষ রক্ষায় সচেতনতসহ পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে তারা। পত্লীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই এলাকার তরুণদের এই উদ্যোগ সম্পর্কে অবগত আছেন। মূলত তরুণদেরকে উৎসাহিত করা এবং তাদের নেওয়া উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের জন্য তিনি সহযোগিতাস্বরূপ উক্ত উপজেলাকে বন্যপ্রাণী ও পাখির নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, নওগাঁর পত্লীতলা উপজেলা প্রশাসন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটি ও বারসিক’র যৌথ উদ্যেগে আয়োজিত পরিবেশ দিবসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কৃষক, নারীসহ বিভিন্ন পেশার ও শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা তরুণদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং পাখি ও অন্যান্য বন্য প্রাণীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরির জন্য স্ব স্ব অবস্থান থেকে উদ্যোগ নেবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।