ফল বিনিময়ের মাধ্যমে প্রতিবেশিদের সাথে বন্ধন তৈরি হবে
বারসিকনিউজ ডেক্স
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ জনপদ উপকূলীয় সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলা শ্যামনগর। শ্যামনগর উপজেলার সবচেয়ে জলবায়ু ঝূঁকিপূর্ণ জনপদ দ্বীপ ইউনিয়ন পদ্মপুকুর। এককথায় বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জীবন্ত যাদুঘর এ দ্বীপ ইউনিয়ন। যার চর্তুদিক নদী দ্বারা বেষ্টিত।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যেমন-ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ¡াস, ঘূর্ণিঝড়, নদী ভাঙনের মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। ফলে দরিদ্র মানুষই সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ উপকূলীয় এলাকার দরিদ্র মানুষ নদীর পাড়ে ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাস করে। এই ইউনিয়নের একটি নিয়মিত সমস্যা হচ্ছে বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণ পানি প্রবেশ করা। যার ফল শ্রæতিতে বর্ষা মৌসুমে বেড়ি বাঁধ ভেঙে গিয়ে জনপদে নদীর পানি প্রবেশ করে জীবন ও জীবিকা প্রভূত ক্ষতি সাধন করে থাকে। ভেড়ি বাঁধকে রক্ষা করার জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠী নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকেন।
সম্প্রতি বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বারসিক থেকে চারা সহায়তা করা হয়েছে। চারা সহায়তা পেয়ে বনায়ন সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘গাছের কোন বিকল্প নাই্। গাছ আমাদেরকে সুন্দর ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। বারসিক থেকে আমরা যে চারা পেয়েছি সেটা নদীর চরে লাগিয়েছি। এই চারা বড় হলে ভেড়িবাঁধ রক্ষা হবে। কেওড়া ফল ,গোলপাতা, জ¦ালানি কাঠ পাবো। প্রাকৃতিক দূর্যোগে জনপদ এবং জানমালের ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশেই কমে যাবে।’
পাখিমারা গ্রামের মোকসেদ সানা বলেন, ‘১০ প্রকার গাছের চারা পেয়েছি। তাতে অনেক ধরনের ফলের চারা আছে। ফলের গাছে ফল ধরা শুরু হলে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পুরণ করতে পারবো এবং প্রতিবেশিদেরকে ও সহায়তা করতে পারবে। এই ফল খেতে দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিবেশিদের সাথে এক ধরনের বন্ধন তৈরি হবে।’