গাছেরও প্রাণ আছে; তারাও অনুভূতির বাইরে নয়

রাজশাহী থেকে আয়েশা তাবাস্সুম

গাছ আমাদের খুবই উপকারি বন্ধু। শুধু বন্ধুই না গাছ না থাকলে আমারাও বাঁচতে পারবোনা। আমাদের স্বাস প্রশ্বাসের সাথে গাছ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ জিনিসপত্র গাছ থেকেই পাই। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটি প্রথার প্রচলন আছে যে, ‘সন্ধ্যার পর গাছের পাতা ছেড়া যাবেনা কারণ গাছেরা সে সময় ঘুমিয়ে যায়।’ গাছেরও প্রাণ আছে সেটা আমরা সবাই কমবেশি জানি।

তবে দেখা যায়, প্রায় সব এলাকায় যে কোন ব্যানার, সাইনবোর্ড, লিফলেট ইত্যাদি গাছের গায়ে অমানবিকভাবে পেরেক দিয়ে আটকানো হয়। গাছের গায়ে পেরেকবিদ্ধ করা যেন কিছুই না! হরমাশায় এ কাজ চলে আসছে। গাছে পেরেকবিদ্ধ করলে গাছ ব্যথা পায় এবং এমনকি কোন এক সময়ে সেই মাছ মারাও যেতে পারে। গাছের অনুভূতি আছে; গাছের গায়ে পেরকবিদ্ধ করা তাই কোনভাবেই উচিত নয়।

এসব অমানবিক কাজ থেকে জনগোষ্ঠীকে সচেতনতার লক্ষ্যে সম্প্রতি বৃক্ষ সুরক্ষা ক্যম্পেইনের আয়োজন করা হয় তানোর উপজেলার চাপড়া ও লালপুর গ্রামে। অনুষ্ঠানে লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকবৃন্দ এবং চাপড়া গ্রামের জনগোষ্ঠী এবং তানোর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার, চাপড়া হাই স্কুলের শিক্ষক ও বারসিক’র কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অংশগ্রহণকারী নিজ গ্রামের প্রতিটি গাছ থেকে পেরেক তুলে সেখানে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল গ্রামেই কাজটি চালু করা হবে বলে তারা জানান।

happy wheels 2

Comments