সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে
হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ থেকে সত্যরঞ্জন সাহা
গ্রামীণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মেলা, যাত্রাপালা, গান বাজনা করোনার কারণে সরকারের আইন অনুযায়ী বন্ধ। গ্রামীণ শিল্পীগণ বাড়িতে চর্চা করলেও কোন অনুষ্ঠানে তাঁরা আমন্ত্রণ পান না। ফলে সংগীত প্রেমিকদের আনন্দ, উৎসাহ ও উদ্যোগ সৃষ্টিতে ভাটা পড়ছে। যুবকগণ গ্রামীণ এ সকল গান-বাজনা না থাকায় মোবাইলে ফেসবুকিং, চ্যাটিং করে সময় পার করছেন। শিল্পীগণ গান বাজনায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় দর্শকগণও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে ডিজিটাল যুগে কম্পিউটার, টিভি, মোবাইলে নাটক, গান বাজনা চলমান থাকায় শুনা ও দেখার মাধ্যমে মানুষ আনন্দ বিনোদন পেয়ে থাকেন। করোনায় ঘরে বন্ধী থেকে নয়, মুক্ত আকাশের নিচে শিল্পীগণ গান গেয়ে মঞ্চ মাতাতে চান।
মানিকগঞ্জের গ্রামীণ শিল্পী সংস্থার উদ্যোগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রযুক্তির কল্যাণে করোনার সময় ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রতন সাহার সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বারসিক’র বিমল চন্দ্র রায়। আলোচনায় অংশ নেন এ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ এবং সংগীত পরিবেশন করেন হরিরামপুর মাতৃভূমি ব্যাড সংগীত দলের সভাপতি ও মিউজিশিয়ান স্বপন কুমার রবিদাস, শিল্পী তৃষা আক্তার, হরিরামপুরে বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী নাহিদ মোল্লা। সিংগাইর উপজেলার বায়রা এলাকার রবি সরকারের সংগীত দল দেশাত্মবোাধক ও শিশু শিল্পী রাইসা আক্তার, পল্লি বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও শিল্পী রেজাউল করিম, ফোক সংগীত শিল্পী মুন্না সাহা, মৃদুল মন্ডলসহ আরো অনেকে গান পরিবেশন করেন।