সবজি চাষ করলে গরমে দেয় স্বস্তি পূরণ করে পুষ্টি
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
রাজশাহীর নামোভদ্রা বস্তির ডলি বেগম (৪৭)। তার স্বামী শরীফুল হোসেন (৫০) ভাংড়ি কুড়ানোর কাজ করেন। ২ ছেলে ১ মেয়ে তাদের। বড় মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। মেজ ছেলে কাজ করে একটি মুদিখানার দোকানে। ছোট ছেলেটি অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। ডলি বেগমও কাজ করেন বাসাবাড়িতে।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2024/04/doli2-1024x658.jpg)
বারসিক’র পরামর্শে ও বীজ বিনিময়ে উৎসাহিত হয়ে ডলি বেগম নিজের বসতবাড়ির সামান্য জায়গা ব্যবহার করে সবজি চাষ শুরু করেছেন সম্প্রতি। এর আগে সামান্য জায়গাটি পরিত্যক্ত থাকতো; শুধু একটি ডুমুর গাছ ছিলো। ডলি বেগম মনে করতেন, এই জায়গায় সবজি হবে না কারণ এর মাটি ভালো না। তাই কোনদিন ওই জাংগায় সবজি চাষ করার চিন্তাই করতেন না।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2024/04/doli1-1024x605.jpg)
তবে বারসিক’র পরামর্শ পেয়ে এবং এ সংগঠনের সহায়তায় বীজ পেয়ে ওই পরিত্যক্ত জায়গায় সবজি চাষ করতে শুরু করেন। কিছুদিন পর সবজি গাছের বৃদ্ধি দেখে তিনি অবাক হন এবং ওই জায়গায় আরও সবজি চাষ করার আগ্রহী হয়ে উঠেন। এভাবেই তিনি সেই জায়গায় করলা, লাউ, পেপে, মরিচ, পুই, শীম চাষ করেন। তিনি বারসিক’র পরামর্শে ওই সবজির ক বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন যাতে পরবর্তীতে তা আবার বপন ও বিনিময় করতে পারেন।
ডলি বেগমের বাসার পিছনে সামান্য জায়গায় বর্তমানে রয়েছে পেঁঁপে, ডুমুর, লেবু, নীম, কলা, করলা, লাউ, মরিচ গাছ রয়েছে। তিনি জানান, নিজের চাহিদা পূরণ করার পর গত মাসে তিনি উদ্বৃত্ত কিছু সবজি বিক্রি করেছেন। সবজি বিক্রির টাকায় সংসারের অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারছেন বলে তিনি জানান। এছাড়া সবজি গাছের মরা ডাল ও পাতা গুলো দিয়ে তাঁর জ¦ালানি চাহিদাও পূরণ করছেন। তিনি আরো বলেন, “প্রচন্ড গরমে সবজির বড় গাছগুলো ছায়া হিসেবে কাজ করে। দু’টি ঘরের মধ্যে যে ঘরের ওপর গাছের ছায়া লাগে সেই ঘরটা একটু ঠান্ডা লাগে। গাছ তলায় আসলে বাতাস পাই।’
উল্লেখ্য যে, ডলি বেগমের দেশের বাড়ি নীলফামারীতে। ৩০ বছর আগে নদীভাঙনে সবকিছু হারিয়ে তিনি রাজশাহীতে এসে বসবাস করেন।