রাজিয়া বেগমের ঘরের চালে সীম চাষে সফলতার গল্প
রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন
রাজশাহী অঞ্চলের পবা উপজেলা সবজি চাষের অন্যতম এলাকা। এ এলাকায় জমিতে সবজি চাষের পাশাপাশি বাড়ির পাশে নারীরা মৌসুমভিত্তিক সবজি চাষাবাদ করেন। তেমনি দর্শন পাড়া ইউনিয়নের নদী কান্দা গ্রামের একজন সবজি চাষি নারী রাজিয়া বেগম (৩৮)। স্বামী মোঃ মামুন আলী (৪২)একজন কৃষক। বাড়ির সদস্য সংখ্যা তিনজন। বসতভিটার পরিমাণ ৫ শতক।
রাজিয়া বেগমের বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজের অনেক দক্ষতা আছে যেমন, সেলাই মেশিন চালানো, হাতে বিভিন্ন ধরনের নকশিকাঁথা সেলাই, সুন্দর করে পরিবেশবান্ধব চুলা তৈরি করা, হাতে মাছ মারা তোড়া জাল বুনাতে পারেন। তিনি পাশাপাশি বাড়ির পাশে পড়ে থাকা জায়গায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ করেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে সীম চাষ করে আসছেন রাজিয়া বেগম। বিগত বছরের তুলনায় এবছর দাম ভালো থাকায় ও ফলন ভালো হওয়ায় সীম চাষে লাভবান হয়েছেন। তিনি নিজে খেয়েছেন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর সাথে বিনিময় করেন এবং ৬০০০ হাজার টাকার সীম বাজারে বিক্রি করেছেন। দেশি জাতের এই সীম ফলন খুব ভালো হওয়ায় ও রোগব্যাধি কম হওয়াই তিনি খুব খুশি।
রাজিয়া বেগম নিজে বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। আগামী মৌসুমে চাষাবাদ করা ও প্রতিবেশীর সাথে বিনিময় করার জন্য। তিনি প্রাকৃতিকভাবে সীম চাষাবাদ করেন। জৈব সার ও বাসি ছাই ছিটিয়ে সীম গাছের পোকা নিধন করেন। দেশি জাতের সীমের মধ্যে হাতি কানা, কুসলি এই দুই ধরনের সীম চাষ করেন।
রাজিয়া বেগম বলেন, ‘সীম বিক্রি টাকা দিয়ে ছেলের লেখাপড়া ও সংসারের টুকিটাকি জিনিস কিনতে স্বামীর কাছে টাকার জন্য বলতে হয়না। আমি নিজেই কিনতে পারি। টাকা দিয়ে সংসারে সহযোগিতা করতে পারি। আমি খুব খুশি স্বামীর পাশাপাশি আমি কিছু টাকা সংসারের বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারছি বলে ‘
বাড়ির আশেপাশে ফাঁকা জায়গা ফেলে না রেখে রাজিয়া বেগমের মতো সবজি চাষ করে লাভবান হওয়া যায়। তাতে সংসারের উন্নতি যেমন হবে সংসারে নিরাপদ খাদ্যর চাহিদা পূরণ হবে।