বসতভিটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদনে সফল সাহেব আলী
ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
সমাজের প্রান্তিক মানুষগুলো দিন এনে দিন খায়। সমাজের প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ছোট জায়গাকে ব্যবহার উপযোগি করার জন্য বারসিক ঘিওরের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছে। তাদেরকে বসতবাড়িতে সবজি চাষে আগ্রহী করে তোলাই বারসিক’র মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে তাদেরকে উৎসাহিত করাও অন্যতম কাজ।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2023/07/20230702_132558.jpg)
বারসিক’র এই উদ্যোগের ফলে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে নিজ জায়গাকে সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সবজি চাষের আগ্রহ বেড়েছে। তাঁরা বাড়ির সামান্য জায়গা ব্যবহার করে ফসল ফলাচ্ছেন। তাদের মধ্যে সাহেব আলী অন্যতম। তিনি বলেন, ‘আমার খাবার আমি উৎপাদন করলে আমাদের অভাব কিছুটা কমবে, আমাদের বাজার থেকে সবজি কিনতে হবে না। সেই টাকা বাঁচিয়ে আমরা হাসঁ-মুরগি কিনে পালন করতে পারবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি স্থানীয় কেল্লাই বাজারে মুরগির ডিম ৭০ টাকা হালি ও হাঁসের ডিম ৬৫ টাকা হালি বিক্রি করে আয় করছি।’
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2023/07/20230702_132316.jpg)
গাংডুবী নতুন পাড়া গ্রামের মোঃ সাহেব আলী। অভাবের সংসারে তিনি তার সামান্য জায়গায় কুমড়া, ধুন্দুল, চাষ করে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রি করেও সংসার চালাচ্ছেন। তিনি জানান, ধুন্দুল ও কুমড়া বিক্রি করে দু’টি ছাগলের বাচ্চা কিনেছেন। এখন ছাগলের তিনটি বাচ্চা হয়েছে। তিনি সবজি চাষ করে যেমন তাঁর বসতভিটার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন ঠিক তেমনি সবজি চাষ করে নিজের সবজি চাহিদা পূরণ করেছেন। এছাড়া বাড়তি সবজিগুলো বিক্রি করে আয়ও করেছেন।
তাঁর সবজি চাষ দেখে এবং তাঁর সাফল্যে অনুপ্রাণীত হয়ে অন্যরাও জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সবজি চাষ করছেন। এভাবে প্রান্তিক মানুষের খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে পেরেছেন। এতে তাদের ঘরের চালের ওপর সবজি থাকায় তাপদাহের প্রকোপটাও কম হয় বলে তিনি জানান। তিনি জানান, আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রকৃতিই আমাদের রক্ষা করে। তাই আমরা প্রকৃতিকে রক্ষা করতে চাই।