রাজশাহী নগরীর উন্নয়নে প্রান্তিক মানুষের মতামতগুলো গুরুত্ব দিতে হবে
রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম
সবার জন্য বাসযোগ্য নগরীর প্রত্যাশায় রাজশাহী নগরির প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন, সমস্যা সম্ভাবনার দিকগুলো বিষয়ে সাম্প্রতি রাজশাহী মাহনগরিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে জনসংলাপ। জনসংলাপে নগরির প্রান্তিক মানুষসহ নাগরিক সমাজ তাঁদের মতামতগুলো তুলে ধরেন।
সংলাপে তাঁরা বলেন, ‘দিনে দিনে রাজশাহী মাহানগরিতে স্মরণকালের সেরা উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানামূখী উন্নযনকাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। নগরির এই উন্নয়নে শহর প্রান্তিক মানুষের মতামত এবং তাঁদের অধিকারের দিকগুলো আরো বেশি গুত্ব দিতে হবে।’
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের সীমা আক্তার বলেন, ‘নাগরিকের সামজিক নিরাপত্তা বেস্টনীতে অনেক সুযোগ সুবিধা এলেও তা অনেক সময় প্রান্তিক মানুষগুলো পায়না, বিশেষ করে এ বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান এবং না জানার কারণে তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।’
জনসংলাপে সংহতি জ্ঞাপন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডের কমিশনার মাহাদৎ আলী বলেন, সরকার নানামূখী উন্নয়ন কাজ করছে, নানা সহযোগিতা করছে জনগণের জন্য, এই সুযোগগুলো পেতে আমাদের নাগরিকদেরকেও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নাগরিক অধিকার গুলো মানুষ জানলে সেই সমাজের মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়না।’ তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে সুযোগ সুবিধাগুলো পেতে জনগণকে সহায়তা করার আশ^াস দেন।
উক্ত সংলাজনসংলাপে শহর প্রান্তিক মানুষের নাগরিক অধিকার এবং সরকারের বিভিন্ন সেফটিনেট/সেবা কর্মসূচি বিষয়ে সচেতনতামূলক তথ্য প্রেজেন্টশন তুলে ধরেন উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম। এ ছাড়াও জনসংলাপে বক্তব্য দেন সামাজিক কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক স¤্রাট আলী, কোষাধ্যক্ষ আরিফ হাসান, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টুকু, এলাকার সমস্যা সম্ভাবনা বিষয়ে কথা বলেন সীমা খাতুন, আল আমিন, জালাল উদ্দিন, সারেজান, সাইলা খাতুন, আব্দুল্ল্যাহ আল মারুফসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য যে, বস্তিশুমারী ২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী দেখা যায় রাজশাহী মহানগরীতে ছোট বড় মিলে ১০৪টি বস্তি আছে। যারা খানার সংখ্যা ১০২০২ এবং যার জনসংখ্যা মোট ৩৯০৭৭ জন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৮০.৫৫% পরিবারই সরকারি জমিতে ঝুপড়ি বা ছোট ছোট টিনের ঘরে বসবাস করে। যেখানে বিদ্যুৎ, পানি এবং নাগরিক সুযোগ সুবিধাগুলো না থাকার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করে।